গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর ভারতের সেমিফাইনাল খেলাটা নির্ভর করছিল পাকিস্তানের জয়ের উপর। তাই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তান জিতুক সেটা মনে প্রানে চেয়েছিল ভারত। এমনিতে পাকিস্তান জিতুক সেটা কখনো চাইবে না ভারত। তবে মাঝেমাঝে পরিস্থিতি এমন হয়ে দাঁড়ায় যে, চিরশত্রুরও কল্যাণ কামনা করতে হয়। ভারত অবশ্য করেছে নিজেদের স্বার্থেই। গত সোমবার রাতে প্রার্থনা করেছে যেন নিউজিল্যান্ডকে হারাতে পারে পাকিস্তান। ভারতের সেই প্রার্থনা কোনো কাজেই দিলো না। নিউজিল্যান্ডের কাছে হারতেই হলো পাকিস্তানকে। নিউজিল্যােনে্ডর কাছে ৫৪ রানে হেরে নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর থেকে বিদায় নিলো পাকিস্তান। অন্যদিকে দুর্দান্ত জয়ে ২০১৬ সালের পর এই প্রথম সেমিফাইনালে নিজেদের জায়গা নিশ্চিত করলো নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তান ডুবলো ভারতকে সাথে নিয়েই। কারণ ভারতীয়রা বিশ্বকাপে টিকে থাকতে হলে এই ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারাতেই হতো পাকিস্তানের। সেটি না হওয়ায় বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিতে হয় ভারতকেও। সোমবার রাতে দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ১১০ রান করেছিল নিউজিল্যান্ড। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৫৬ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ ২৯ বলে ২৮ রান করেন সুজি ব্যাটস। ২৪ বলে ২২ রান করেন ব্রুকি হালিডে। ২৫ বলে ১৯ রান করেন অধিনায়ক সোফি ডেভিন। ১৪ বলে ১৭ রান করেন জর্জিয়া প্লিমার। এতে ৬ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের পুঁজি দাঁড়ায় ১১০ রান। নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেওয়া ১১১ রানের লক্ষ্য ১১.৩ ওভারে টপকাতে পারলে সেমিতে যেতে পারতো পাকিস্তানও। কিন্তু কিউই বোলারদের তোপের মুখে পড়ে মাত্র ৫৬ রানের গুটিয়ে যায় ফাতিমা সানার দল। চলতি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত এটিই দলীয় সর্বনিম্ন রানের স্কোর। পাকিস্তানের হয়ে দুই অংকে যেতে পেরেছেন কেবল দুইজন। মুনিবা আলি ১১ বলে করেন ১৫ রান। আর ফাতিমা সানা ২৩ বলে করেন ২১ রান। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ১৪ রানে ৩ উইকেট নেন অ্যামেলিয়া কের।
