ব্রয়লার মুরগির দামে স্বস্তি

দুই দিনে কমল কেজিতে ৮৫ টাকা

আজাদী প্রতিবেদন | মঙ্গলবার , ২৮ মার্চ, ২০২৩ at ৫:৩৯ পূর্বাহ্ণ

দীর্ঘদিন ধরে অস্থির ব্রয়লার মুরগির বাজার। গত শুক্রবার প্রথম রমজানের দিন নগরীর বিভিন্ন এলাকায় মুরগি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ২৭০ টাকায়। তবে দুই দিনের ব্যবধানে সেই চিত্র পাল্টেছে। গত দুই দিনের ব্যবধানে মুরগির দাম কেজিতে কমেছে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকা পর্যন্ত। এতে ভোক্তাদের মধ্যে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

খুচরা মুরগি বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারীতে দাম বাড়লে আমাদেরও বেশি দামে মুরগি বিক্রি করতে হয়। এখন পাইকাররা দাম কমিয়েছেন, তাই আমরাও কম দামে মুরগি বিক্রি করতে পারছি। গতকাল নগরীর কাজীর দেউরি কাঁচাবাজারসহ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়। এছাড়া সোনালী মুরগি ৪০০ টাকা এবং দেশী মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৪০ টাকায়। মুরগি বিক্রেতা হোসেন আলী বলেন, মুরগির বাজার প্রতিদিনই পরিবর্তন হচ্ছে। বর্তমানে বাজার নিম্নমুখী। আজকের বাজার হিসেবে আমাদের লোকসান দিয়ে মুরগি বিক্রি করতে হচ্ছে। এখন ১৯৫ টাকায় এখন যে মুরগি বিক্রি করছি, এগুলো কেনা পড়েছে প্রতি কেজি ২১০ টাকায়। বাজার নিয়ন্ত্রণ করে পাইকাররা। এখন তাদের থেকে কিনে এনে ৫১০ টাকা লাভে বিক্রি করি।

এম এম ইলিয়াছ উদ্দিন নামের একজন ক্রেতা জানান, মুরগি দাম কমেছে কেজিতে ৮০ টাকা। কিন্তু বাড়ার সময় এক সাথে ১৩০ টাকা বেড়ে গেছে। এখনও মুরগির দাম দুইশ টাকা ছুঁইছুঁই। এই দামে এখনো অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার মুরগি কিনতে পারবে না। শুধুমাত্র মুরগির খাদ্যের দাম বেড়েছে, এই অজুহাতে এত বেশি দাম বাড়া অস্বাভাবিক।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কনফারেন্স হলে ব্রয়লার মুরগির দাম নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে তিনি জানান, কাজী ফার্ম, সিপি, প্যারাগন ও আফতাব ফার্মের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। কোম্পানিগুলো ২৩ মার্চ পর্যন্ত প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ২৩০ টাকা করে মিলগেটে বিক্রি করেছে। তারা বৈঠকে আমাদের জানিয়েছেনআগামীকাল ২৪ মার্চ থেকে ১৯০১৯৫ টাকায় বিক্রি করবে। আশা করছি ভোক্তা পর্যায়ে এখন দাম ৩০৪০ টাকা কমবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআওয়ামী লীগের নোমানসহ ৬ জনের মনোনয়নপত্র জমা
পরবর্তী নিবন্ধটোল রোড ফ্লাইওভারে মেরামত কাজ অবশেষে শুরু