টানা চার ম্যাচে জিতে একরকম উড়তে থাকা ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবকে প্রথম হারের স্বাদ দিল মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র। আগের চার ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা ব্রাদার্সকে গতকাল কেমন যেন বিবর্ণ দেখা গেল। যার পরিণতি প্রথম পরাজয়। অপরদিকে টানা দুই ম্যাচে হেরে যাওয়া মুক্তিযোদ্ধা ফিরল জয়ের ধারায়। গতকাল এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ২-০ গোলে পরাজিত করে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে। দিনের অপর ম্যাচে বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি একাদশের সাথে শেষ মুহূর্তের গোলে ড্র করেছে আরেক শিরোপা প্রত্যাশি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন একাদশ। ২-২ গোলে ড্র হয়েছে দুই অফিস দলের এই ম্যাচটি। গতকাল হারলেও ৫ ম্যাচ শেষে ব্রাদার্সের সংগ্রহ ১২ পয়েন্ট। তারা এখনো পয়েন্ট তালিকার সবার উপরে। সমান ম্যাচে সিটি কর্পোরেশন একাদশের পয়েন্ট ১১, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা মাদারবাড়ী উদয়ন সংঘের পয়েন্ট ৪ খেলায় ১০।
গতকালের ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়ন একেবারে অগোছালো ফুটবল খেলেছে। পুরো খেলায় তারা শুধুমাত্র একবারই প্রতিপক্ষ কিপারকে পরীক্ষার মুখোমুখি করতে পেরেছে। তবে মুক্তিযোদ্ধা খেলেছে একেবারে উজ্জিবীত ফুটবল। দলটির রক্ষনভাগ ছিল বেশ দৃঢ়। খেলার ৩৮ মিনিটে এগিয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা। বামপ্রান্ত দিয়ে সায়েম বক্সে ঢুকে দুর্দান্ত শট নিলে বল ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে। ফিরতি বলে টোকা দিয়ে হাসান বল পাঠিয়ে দেন জাল্ে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় মুক্তিযোদ্ধা। প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে ব্যবধান দ্বিগুন করতে পারতো মুক্তিযোদ্ধা। বঙে ফাঁকায় গোল রক্ষককে একা পেয়েও সায়েম যে শট নেন তা ব্রাদার্স গোলরক্ষক করিম কর্নার করে বিপদমুক্ত করেন।
প্রথমার্ধে এক গোলে এগিয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধা দ্বিতীয়ার্ধেও খেলেছে উজ্জিবীত ফুটবল। সে সুবাধে দ্বিতীয় গোলটি তুলে নেয় তারা। ডানপ্রান্ত থেকে আক্রমণে উঠে হেফাজ উদ্দিন হাসান বল পাঠান গোল মুখে। বদলি খেলোয়াড় শাওন কেবল মাথা ছুঁইয়ে বল পাঠিয়ে দেন জালে। ২-০ গোলে এগিয়ে যাওয়ার আনন্দে মাতে মুক্তিযোদ্ধা। এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি ব্রাদার্স। ফলে প্রথম পরাজয়ের স্বাদ নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাদের। খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের নিঙন। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিডিএফএ নির্বাহী সদস্য কুতুব উদ্দিন চৌধুরী।
এর আগে দিনের প্রথম ম্যাচে দুই অফিস দল বন্দর এবং সিটি কর্পোরেশনের খেলায় ৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ইমন মোল্লার গোলে এগিয়ে যায় সিটি কর্পোরেশন একাদশ। শুরুতেই পিছিয়ে পড়া বন্দর দল খেলায় ফিরতে মরিয়া হয়ে উটে। ৩৫ মিনিটে সমতা ফেরায় বন্দর কর্তৃপক্ষ। ডি বঙের বাইরে থেকে রয়েলের দর্শনীয় শট জালে আশ্রয় নিলে সমতা ফিরে খেলায়। তার ২ মিনিট পর এগিয়ে যায় বন্দর দল। মঈনের গোলে এগিয়ে যায় বন্দর। এরপর দু দল বেশ আক্রমনাত্নক ফুটবল খেলতে থাকে। কিন্তু গোল পাচ্ছিলনা দুদলের কেউই। বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি একাদশ পুরো তিন পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়বে সেটাই যখন ভাবছিল সবাই ঠিক তখনই সমতা ফেরায় সিটি কর্পোরেশন। খেলার ৮৫ মিনিটে কংকর বিশ্বাসের দুর্দান্ত জালে আশ্রয় নিলে সমতা ফেরানোর আনন্দে মাতে সিটি কর্পোরেশন একাদশ শিবির। খেলায় ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি একাদশের মঈনুল ইসলাম মঈন । তার হাতে পুরষ্কার তুলে দেন সিজেকেএস নির্বাহী সদস্য রেজিয়া বেগম ছবি। আজ একটি খেলা অনুষ্ঠিত হবে। খেলায় কোয়ালিটি স্পোর্টস এবং মাদারবাড়ি উদয়ন সংঘ বিকেল সাড়ে তিনটায় পরষ্পরের মোকাবলা করবে।