আবারো বিধ্বস্ত হলো বাংলাদেশের নতুন দল। বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর বাংলাদেশ দলকে নতুন করে গড়ে তোলার যে পরিকল্পনা নিয়েছিল বিসিবি সেটা শুরুতেই হোঁচট খেল। টানা দুই ম্যাচে হেরে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের কাছে হাতছাড়া করলো টি-টোয়েন্টি সিরিজ। প্রথম ম্যাচে বোলাররা কিছুটা হলেও জমিয়ে তোলার চেষ্টা করেছিল ম্যাচটাকে। কিন্তু গতকাল শুক্রবার একেবারে অসহায় আত্মসমর্পণ করল টাইগাররা। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে ৮ উইকেটে। আর তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে ফেলেছে বাবর আজমের দল। বিশ্বকাপ থেকে টানা সাত ম্যাচে হারল বাংলাদেশ। আগের ম্যাচে ১২৭ রান করতে সক্ষম হলেও গতকাল করতে পেরেছে মাত্র ১০৮ রান। আর সে রান তুলে নিতে মোটেও বেগ পেতে হয়নি পাকিস্তানের।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাট করতে নামা বাংলাদেশের দুই ওপেনার আবারো ব্যর্থ হলেন। লিটন-সৌম্যদের বদলে দলে নেওয়া সাাঈফ হাসান এই ম্যাচে রানের খাতা খুলতে পারলেন না। আর নাইমও যথারীতি ব্যর্থতার মিছিলে। দুজন ফিরে আসেন দলের রান যখন মাত্র ৫। এরপর নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন আফিফ হোসেন। বেশ ভালই এগিয়ে যাচ্ছিলেন দুজন। কিন্তু ৪৬ রানের বেশি যোগ করতে পারলেন না। ২১ বলে ২০ রান করা আফিফকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙ্গেন সাদাব খান। প্রথম ম্যাচের মত এই ম্যাচেও ব্যর্থ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ফিরেছেন ১২ রান করে। তবে প্রথম ম্যাচে রান না পেলেও এই ম্যাচে বেশ ভাল খেলতে থাকা শান্ত পারলেন না নিজের হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিতে। আর তাতেই শেষ বাংলাদেশের বড় স্কোরের স্বপ্ন। ৩৪ বলে ৪০ রান করে শাদাব খানের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে ফিরেন শান্ত। এরপর নুরুল হাসান সোহানের ব্যাট থেকে আসে ১১ রান। আর তাতেই শতরান পার করে মোট ১০৮ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। পাকিস্তানের পক্ষে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন শাহীনশাহ আফ্রিদি এবং শাদাব খান। প্রথম ম্যাচে হাসান আলি খেললেও দ্বিতীয় ম্যাচে তার পরিবর্তে শাহিনশাহ আফ্রিদিকে খেলায় পাকিস্তান।
১০৮ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আবারো ব্যর্থ হলেন বিশ্বকাপে রানের বন্যা বইয়ে দেওয়া বাবর আজম। মোস্তাফিজের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ফিরেন বাবর আজম। দুই ম্যাচেই ব্যর্থ পাকিস্তানের অধিনায়ক। তবে অধিনায়ক ফিরে গেলে মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং ফখর জামান মিলে দলকে টেনে নিয়ে যান দুর্দান্ত গতিতে। আগের ম্যাচে রান না পেলেও গতকাল দারুণ ব্যাটিং করেছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এক পঞ্জিকা বর্ষে সবচাইতে বেশি রানের মালিক রিজওয়ান। এ দুজন মিলে দলকে ৯৭ রানে নিয়ে গিয়েছিলেন। আমিনুল ইসলাম বিপ্লব ভাঙ্গেন এ জুটি। তিনি ফেরান ৪৫ বলে ৩৯ রান করা রিজওয়ানকে। তবে ফখর জামান দারুণভাবে দলকে এগিযে নিয়ে যান জয়ের দিকে। ৫১ বলে ২টি চার এবং ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৫৭ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে তবেই ফিরেন ফখর জামান। ১১ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে জয় নিশ্চিত করার পাশাপাশি সিরিজও নিশ্চিত করে পাকিস্তান।