ব্যাংকের ভল্ট থেকে পাঁচ কোটি টাকা গায়েব, ৩ কর্মকর্তা কারাগারে

| মঙ্গলবার , ২৬ মার্চ, ২০২৪ at ৫:৩০ পূর্বাহ্ণ

সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় জনতা ব্যাংকের তামাই শাখার ভল্ট থেকে পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার গরমিল পাওয়ার পর তিন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন ওই শাখার ব্যবস্থাপক সিরাজগঞ্জ শহরের ধানবান্দি মহল্লার জেসি রোডের বাসিন্দা আল আমিন (৪২), সহকারী ব্যবস্থাপক বগুড়ার ধুনট উপজেলার বেলকুচি গ্রামের বাসিন্দা রেজাউল করিম (৩৪), ব্যাংকের কর্মকর্তা সিরাজগঞ্জ সদরের কাদাই গ্রামের বাসিন্দা রাশেদুল ইসলাম (৩১)। খবর বিডিনিউজের।

ব্যাংকের সিরাজগঞ্জ কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) নজরুল ইসলাম থানায় অভিযোগ করলে গত রোববার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে বেলকুচি থানার ওসি আনিছুর রহমান জানান। তিনি বলেন, রোববার রাত ১২টার দিকে অভিযোগ পাওয়ার পর রাতেই অভিযান চালিয়ে ওই তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে দণ্ডদিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার (গতকাল) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাটি অর্থ সংক্রান্ত হওয়ায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) গ্রহণের পর অভিযোগটি তদন্তের জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) পাবনা আঞ্চলিক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানান ওসি। অভিযোগে বলা হয়েছে, সম্প্রতি জনতা ব্যাংক তামাই শাখার লেনদেন সন্দেহজনক মনে হলে ডিজিএম নজরুল ইসলাম শাখায় গিয়ে সবকিছু নিরীক্ষা করেন। নিরীক্ষা শেষে ভল্টে পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকার গরমিল পান।

ডিজিএম নজরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক নিরীক্ষায় পাঁচ কোটি ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা হিসাবে কম পাওয়া গেছে। জানতে চাইলে ওই তিন কর্মকর্তা টাকা আত্মসাতের কথা স্বীকার করেন। পরে থানায় অভিযোগ করা হলে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জনতা ব্যাংক প্রধান কার্যালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিনিধিদল এ বিষয়ে অধিকতর নিরীক্ষা করছেন বলে জানান তিনি।

ব্যাংকের ভল্ট থেকে টাকা উধাওয়ের ঘটনা জানাজানি হলে তাঁতশিল্প অধ্যুষিত তামাই শাখার গ্রাহকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু গ্রাহক তাদের ব্যাংক হিসাবের প্রতিবেদন তুলে টাকার গরমিল পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। ব্যাংকের তামাই শাখার গ্রাহক তাঁত ব্যবসায়ী চাঁন মিয়া বলেন, আমার মালিকানাধীন ‘চাঁন কটেজ ইন্ডাস্ট্রিজের’ হিসাব থেকে অসংখ্যবার টাকা তুলে আবার জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি আমি অবগত নই। সবশেষ সিসি ঋণ হিসাবে ব্যাংক আমার কাছে পাবে প্রায় দেড় লাখ টাকা। কিন্তু হিসাবের প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে ব্যাংক আমার কাছে প্রায় সাড়ে ১৩ লাখ টাকা পাবে। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তি দাবি করেছেন এই তাঁত ব্যবসায়ী।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমোমিনুলের লড়াইয়ের পরও ৩২৮ রানে হার
পরবর্তী নিবন্ধ২৫ মার্চকে আন্তর্জাতিক গণহত্যা দিবস ঘোষণার দাবি