ব্যবসায় বড় বাধা দুর্নীতি

চট্টগ্রামসহ চার এলাকার৭৪ ব্যবসায়ীর মতামতের ভিত্তিতে সিপিডির জরিপ

| সোমবার , ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ

দুর্নীতির কারণে ব্যবসাবাণিজ্যের পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে না। ব্যাংক থেকে ঋণ পেতে চ্যালেঞ্জ, আমলাতন্ত্র ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি ব্যবসার পথে বাধার সৃষ্টি করেছে। এ কারণে ২০২১২২ অর্থবছরে ব্যবসার পরিবেশের কোনো উন্নতি হয়নি। বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) যৌথ জরিপে এ তথ্য উঠে আসে। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও চট্টগ্রামের ৭৪ জন জ্যেষ্ঠ ব্যবসায়ীর মতামতের ভিত্তিতে এ জরিপ পরিচালিত হয়। খবর বাংলানিউজের।

গতকাল রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডিরি কার্যালয়ে এ জরিপ উপস্থাপন করেন সিপিডির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম। এতে বলা হয়, বিগত বছরগুলোর মতো ২০২২ সালেও দুর্নীতি ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। অবকাঠামোগত দুর্বলতা, ব্যাংক থেকে ঋণ প্রাপ্তির চ্যালেঞ্জ, দুর্বল আমলাতন্ত্র, রাশিয়াইউক্রেন যুদ্ধ উদ্ভূত মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার উত্থানপতন ও নীতিগত সমস্যা ব্যবসায়ের জন্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।

২০২১২২ অর্থবছরে বাংলাদেশের ব্যবসায়িক পরিবেশের অগ্রগতির পথে নতুন নতুন সমস্যা সামনে চলে আসার কারণে দুর্নীতির তীব্রতা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। এমন তথ্যও উঠে আসে জরিপে।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা ব্যবসাবাণিজ্যের জন্য সহায়ক হয়নি উল্লেখ করে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অপেশাদার আচরণ এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যবসায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। নির্বাচনের বছর সামাজিক ও রাজনৈতিক অশান্তি আরও বাড়ার ইঙ্গিত দেন ব্যবসায়ীরা।

ব্যবসাবাণিজ্যের এই প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছে সিপিডি। পরামর্শগুলো হলো, দীর্ঘমেয়াদি লক্ষ্য নির্ধারণ করে বিভিন্ন নীতি, কৌশল ও পরিকল্পনা গ্রহণ; সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে একটি বড় সংস্কার নিশ্চিত করা; আরও স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দক্ষতার মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগ নিশ্চিত করা; নাগরিক এবং ব্যবসায়িক সেবা নিশ্চিত করা; ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, আর্থিক খাতে সংস্কার ও নির্বাচনী ইশতেহারে ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ করার অঙ্গীকার করা।

এছাড়া আর্থিক খাতে বড় ধরনের সংস্কার, ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধন, ঋণে সুদহারের সীমা তুলে নেওয়া, বকেয়া ঋণে স্বচ্ছতা, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এঙচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) এবং ইন্স্যুরেন্স ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রেগুলেটরি অথরিটির (আইডিআরএ) কার্যকর ভূমিকা বৃদ্ধির পরামর্শ দেয় সিপিডি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমোটর সাইকেলে পিকআপের ধাক্কা, ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধহালদা ভ্যালি চা বাগান ম্যানেজারের কারাদণ্ড