পটিয়া থেকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়ার দু’দিন পর এক কিশোরীকে টেকনাফ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোহাম্মদ ছৈয়দকে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মোহাম্মদ ছৈয়দকে (২২) আসামি করে পটিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেন। সে পটিয়া পৌরসভার দক্ষিণ গোবিন্দারখীল (তিতা গাজীর বাড়ি) এলাকার আবদুল হাকিমের পুত্র। বখাটে ছৈয়দকে গতকাল ১৮ ডিসেম্বর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
বখাটে মোহাম্মদ ছৈয়দ বিভিন্ন সময় ওই কিশোরীকে নানাভাবে উত্যক্ত করত বলে মামলার এজাহার তার মা উল্লেখ করেন। এজাহারে তিনি বলেন, রাস্তাঘাটে আমার মেয়েকে একা পেলে সে প্রেমের প্রস্তাব দিত। এই বিষয়টি জানার পর আমি বখাটে যুবককে আমার মেয়ের কাছে থেকে দূরে থাকতে বলি। কিন্তু উল্টো সে আমার মেয়েকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। আমার মেয়ে অপ্রাপ্তবয়স্ক বলার পরও সে আমার সাথে অস্বাভাবিক কথা বলে। গত ১৬ ডিসেম্বর দুপুর আড়াইটার দিকে পটিয়া স্টেশন রোডের আলম প্লাজার মার্কেটের সামনে সে আমার মেয়েকে পেয়ে নানাভাব ফুসলিয়ে তার সাথে নিয়ে যায়। বিষয়টি আমি জানতে পেরে বখাটের মোবাইলে ফোন করলে সে আমাকে জানায়, আমার মেয়ে তার সাথে আছে। যদি আমি বিষয়টি নিয়ে বাড়াবাড়ি করি তাহলে সে আমাকে প্রাণে মেরে লাশ গুম করে ফেলবে।
এ বিষয়ে পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রেজাউল করিম বলেন, অভিযোগ পেয়ে ১৭ ডিসেম্বর অভিযুক্ত মোহাম্মদ ছৈয়দকে পটিয়া পৌরসদর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছৈয়দ জানায়, মেয়েটিকে সে কঙবাজারের টেকনাফ এলাকায় তার পিতার কাছে রেখে এসেছে। শুক্রবার মেয়েটিকে টেকনাফ থেকে উদ্ধার করা হয়। মেয়েটিকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবককে আদালতের আদেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।