মোরাপত্র লেখক সমাজ (মোপলেস) চট্টগ্রামের উদ্যোগে গত বুধবার মোমিন রোডস্থ কার্যালয়ে বিশ্ব সংগীত দিবস উপলক্ষে উপমহাদেশের তিনজন বরেণ্য শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে ও ভূপেন হাজারীকাকে নিয়ে স্মরণানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। সাংস্কৃতিক সংগঠক সজল দাশের সঞ্চালনায় ও শ্রমিক নেতা মো. নুরুচ্ছফা মুন্সীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন অভিনেতা লায়ন সুজিত কুমার দাশ। প্রধান অতিথি ছিলেন বীর গেরিলা মুক্তিযোদ্ধা ও প্রাবন্ধিক ফজল আহমদ। মুখ্য আলোচক ছিলেন খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরীর সহ সভাপতি কবি আশীষ সেন। প্রধান আলোচক ছিলেন জাতীয় স্বাধীনতা পার্টি জেএসপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব দীপক কুমার পালিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্পী ও সংগঠক শ্যামল দাশ, রাজনীতিবিদ ডা. বাবলা দাশ, শিল্পী অচিন্ত্য কুমার দাশ, কবি ও সংগঠক আসিফ ইকবাল, খেলাঘর চট্টগ্রাম মহানগরীর দপ্তর সম্পাদক বনবিহারী চক্রবর্ত্তী, সংগঠক শিমুল দত্ত ও সংস্কৃতিকর্মী নিলয় দে। স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোপলেসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি সজল দাশ, অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী শ্যামল দাশ, শিল্পী ও সংগীত পরিচালক অচিন্ত্য কুমার দাশ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন রোপি দাশ (সুমী), সোমা মুৎসুদ্দী। উদ্বোধক লায়ন সুজিত কুমার দাশ বলেন, বিশ্ব সংগীত দিবস উপলক্ষে তিনজন বরেণ্য শিল্পী হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, মান্না দে, ভূপেন হাজারীকাকে নিয়ে স্মরণানুষ্ঠানটির তাৎপর্য বিশাল। তারা জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত সংগীত পরিবেশন করে গেছেন। তাদের গাওয়া গানগুলি বিশ্ববাসীর অমূল্য সম্পদ। তা সংরক্ষণ করা খুবই জরুরি। যতদিন এই সুন্দর পৃথিবী থাকবে ততদিন তাদের গাওয়া গানগুলো চির অম্লান থাকবে।
প্রধান অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজল আহমদ বলেন, আমরা ছোটকাল থেকেই তিন বরেণ্য শিল্পীর সুরেলা কণ্ঠে গাওয়া গানগুলি শুনে আসছি। তারা সংগীতের মাধ্যমে বিশ্ব সংগীত ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করে গেছেন। তারা তাদের স্বীয় গানগুলো নাটক চলচ্চিত্র মঞ্চ সহ বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের পরিবেশন করে গেছেন মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্ত পর্যন্ত। তারা স্মরণীয় ও তারা বরণীয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।