বিশ্বে বাংলাদেশকে এগিতে নিতেই আলোচনা হয়েছে : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

| বৃহস্পতিবার , ১৬ মে, ২০২৪ at ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ

বিশ্বে বাংলাদেশকে এগিতে নিতেই মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। গতকাল বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান। খবর বাংলানিউজের।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চমবারের মতো সরকার গঠনের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। তিনি সম্পর্ককে ভিন্নমাত্রায় নিয়ে যাওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন। সেই অভিপ্রায়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। আমাদের আলোচনা সেই লক্ষ্যেই হয়েছে। একক দেশ হিসেবে আমাদের রপ্তানির সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিনিয়োগকারী দেশও যুক্তরাষ্ট্র। আমি ডোনাল্ড লুকে অনুরোধ জানিয়েছি, বাংলাদেশে ৪০টি আইটি ভিলেজ করার পরিকল্পনা করা হয়েছে সেখানে যাতে যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ বাড়ায়। যদিও কিছু বিনিয়োগ তারা এরইমধ্যে করেছে।

তিনি বলেন, ডোনাল্ড লু বলেছেন আমাদের ব্যবসাকে আরও সম্প্রসারিত করার জন্য। যেই জিএসপি সুবিধা আমরা আগে পেতাম এখন পাই না, সেটি তারা ফিরিয়ে দিতে চায়। রি ইন্ট্রোডিউস করলে তারা জিএসপি সুবিধা বাংলাদেশকে আবার দিতে চায়। তবে সেটি এখনও রি ইন্ট্রোডিউস হয়নি। সেজন্য আমাদের লেবার পলিসিটা একটু রিভিউ করতে হবে, যেটি আমরা রিভিউ করছি। সেটি নিয়ে গতকাল আইনমন্ত্রীর সঙ্গে তার বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে আমাদের রিজার্ভ শক্তিশালী করার জন্য তাদের ডেভলপমেন্ট ফিন্যান্স করপোরেশন (ডিএফসি) থেকে বাংলাদেশকে অর্থায়ন করতে চায়। একই সঙ্গে আমাদের ট্যাঙ সিস্টেমকে আধুনিক করার জন্য আমাদের সহায়তা করতে চায়। ট্যাঙ ফাঁকি যেটি দেওয়া হয় সেটি যেন করতে না পারে সেজন্য তারা আমাদের সহায়তা করতে চায় ট্যাঙ কালেকশনের ক্ষেত্রে। এলডিসির চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তাদের সহায়তা চেয়েছি। তিনি বলেছেন বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বিস্তৃত করার জন্য তারা বাংলাদেশের পাশে থাকবে। বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে আলোচনা করেছি।

র‌্যাব, শ্রম আইন ও মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে ডোনাল্ড লুর মন্তব্য প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে মানবাধিকার নিয়ে আলোচনা হয়নি। সে প্রসঙ্গ আসেনি। র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে কথা হয়েছে। সেটি আমাদের সম্পর্কে প্রভাব ফেলেছিল। এটি প্রত্যাহারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, তবে এটির প্রক্রিয়াটি একটু লম্বা। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। তিনি একমত হয়েছেন আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।

নির্বাচনের আগে তিক্ত সম্পর্ক হয়েছিল, ডোনাল্ড লুর সফরের ফলে কি সেটি আর থাকছে কি নাএমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আপনার ভাষায় তিক্ততার সম্পর্ক, আমি সেটি এভাবে দেখতে চাই না। কারণ বিভিন্ন দেশের নানান কনসার্ন থাকে, তারা সেই কনসার্নগুলো ব্যক্ত করেছিল। দেশে অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। ভোটার উপস্থিতি ৪২ শতাংশ ছিল। আওয়ামী লীগের অনেক প্রার্থী পরাজিত হয়েছে। এমনকি মন্ত্রীও পরাজিত হয়েছেন। সে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়নি। তিনি আরও জানান, তারা জলবায়ু ইস্যুতে সহায়তা করতে চায়। ভিসানীতি ইজ ডরমেন্ট (সুপ্ত) নাও। সুতরাং এটি নিয়ে আলোচনা হয়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বাংলাদেশ সফরে এসেছেন মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু। আমাদের দুই দেশের সম্পর্ক খুবই চমৎকার। আমাদের বহুমাত্রিক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে। একই সঙ্গে গত ৫৩ বছরে আমাদের অভিযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। যে কারণে ডোনাল্ড লুকে ধন্যবাদ জানিয়েছি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকবর খুঁড়তে গিয়ে মিলল গ্রেনেড
পরবর্তী নিবন্ধএইচএসসি ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে