বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার আয়োজনে চট্টগ্রাম মহানগরের পাহাড় রক্ষায় করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা গতকাল সোমবার নগরীর জিইসি মোড়স্থ একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা বলেন, ৪০ বছর আগে চট্টগ্রাম নগরীতে ২০০ পাহাড় ছিল। যার ৬০ শতাংশ ইতোমধ্যে বিলুপ্ত হয়ে গেছে। চট্টগ্রামে বর্তমানে টিকে থাকা পাহাড় রক্ষায় জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর, সিডিএ সিটি কর্পোরেশন এক হয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করার বিকল্প নেই। বক্তারা বলেন, ২০০৭ সালে পাহাড় ধসে ১২৯ জন মারা যাওয়ার পর শক্তিশালী পাহাড় রক্ষা কমিটির প্রদত্ত সুপারিশ বাস্তবায়নে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বেলার নেটওয়ার্ক মেম্বার সাংবাদিক আলীউর রাহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, চবি বন ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. খালেদ মেসবাহুজ্জামান। প্রবন্ধে তিনি বলেন, পাহাড় হচ্ছে পৃথিবীতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় খুঁটির মতো। যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিহত করার পাশাপাশি মানুষ এবং জীব বৈচিত্র্যের সুপেয় পানির আধার। ক্রমাগত পাহাড় ধ্বংস হয়ে গেলে চট্টগ্রাম মহানগরী পরভূমিতে পরিণত হবে। ক্রমবৃদ্ধিমান ইট কংক্রিটের সৃষ্ট উত্তাপ পরিশোধন করার বিকল্প না থাকায় নগরীর তাপমাত্রা অনেক বেড়ে যাবে। পাহাড় কেটে আবাসিক বা বাণিজ্যিক ভবন করে মানুষ যতটুকু আর্থিক লাভবান হচ্ছে বাস্তবে প্রাকৃতিক ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেশি। এতে অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন, পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরামের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শফিক হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর বনবিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক জামিল মোহাম্মদ খান, চসিকের সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ নুর উদ্দিন, ফায়ার সার্ভিস চট্টগ্রামের ডেপুটি অ্যাসিসট্যান্ট ডাইরেক্টর নিউটন দাশ, সাংবাদিক সুজিত সাহা ও আহমদে কুতুব, পরিবেশ সংগঠন গ্রিন ফিংগ্রাসের সহকারী প্রতিষ্ঠাতা আবু সুফিয়ান ও রিতু পারভীন, বেলার বারীশ হাসান চৌধুরী, ফিরোজুল ইসলাম ও জিয়াউর রহমান কল্লোল প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।