সরকারি চাকরিতে কোটা নিয়ে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সংগঠন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের ভিডিও বিবৃতি নেওয়ার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তা হারুন অর রশীদ। তিনি বলেছেন, ‘তারা (সমন্বয়ক) বরং অনুভব করেছে সরকার তো সব দাবি মেনেই নিয়েছে, যে কারণে তারা তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছে।’ গতকাল সোমবার বেলা পৌনে ৩টায় ঢাকার রমনার মিন্টু রোডে ডিবি কার্যালয়ের প্রধান ফটকে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এসব কথা বলেন। খবর বিডিনিউজের। ছয় সমন্বয়কের পরিবার তাদের সঙ্গে দেখা করে গেছেন জানিয়ে গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘ওদের পরিবার কিন্তু কাল রাতে এসেছিল। আজকেও ডিবিতে এসেছেন। তারা নিজেরাও দেখেছেন ওরা (ছয় সমন্বয়ক) কেমন আছে। তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। ওরা যে ভালো আছে সেজন্য ধন্যবাদ দিয়েছে।’ এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘খুব শিগগিরই তারা পরিবারের কাছে চলে যাবে।’
হারুন বলেন, ‘আমরা মনে করি, ডিবি কার্যালয় হচ্ছে মানুষের আস্থার জায়গা। এখানে মানুষকে হেনস্তা করা বা কারো প্রতি অন্যায় আচরণ কখনোই ডিবি করে না, ভবিষ্যতেও করবে না। পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে আমরা মনে করি, যদি কোনো ব্যক্তি নিরাপত্তাহীনতা বোধ করেন, আমাদের কাছে আসেন, তাহলে আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, তাদের দেখভাল করা। সেটিই আমরা করছি।’
হারুন বলেন, ‘এই কোটা বিরোধী আন্দোলনটা করেছিল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাদের ভেতরে ঢুকে একটি গোষ্ঠী ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে। পুলিশ সদস্যকে ঝুলিয়ে হত্যা, মানুষ হত্যা করেছে। রাষ্ট্রীয় স্থাপনাগুলোতে আগুন লাগিয়েছে। আমরা মনে করি, যদি আবার চক্রান্তকারীরা ঘোলা পানিতে মাছ ধরার চেষ্টা করে তাহলে, এই সমন্বয়কদের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হতে পারে। সেজন্য তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের দেখা দরকার।’
হারুন বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন বন্ধে জোর করে ছয় সমন্বয়কদের দিয়ে বিবৃতি দেওয়ানোর অভিযোগটি গুজব। যারা এই গুজবটি ছড়িয়েছেন তাদের প্রতি অনুরোধ গুজব ছড়াবেন না। ডিবি একটি আস্থার জায়গা। সেখানে কাউকে আটকে রাখা হয় না। জোর করে বিবৃতি নেয়া হয় না।’