বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের আগেই নববধূর মৃত্যু

স্বজনদের দাবি সুপরিকল্পিত হত্যা

বোয়ালখালী প্রতিনিধি | বৃহস্পতিবার , ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ at ৫:১৭ পূর্বাহ্ণ

বোয়ালখালীতে নিগার সুলতানা পুষ্পা (১৮) নামের এক নববধূর লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগ থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নিগার সুলতানা বোয়ালখালী পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ডের জঙ্গা তালুকদার বাড়ির আহমদ মিয়ার মেয়ে। মাত্র দুই মাস পূর্বে পশ্চিম গোমদন্ডী চরখিজিরপুর মহল্লা তালুকদার বাড়ির মো. হেলালের সাথে বিয়ে হয় তার। নিহত পুষ্পার মা রাবেয়া বেগম আহাজারি করে বলেন, আমার পরীরমত একমাত্র মেয়ের ঘটা করে বিয়ে হয় গত লকডাউনে। বিধি নিষেধ থাকায় সে সময় অনুষ্ঠান করা হয়নি। শুধুমাত্র আকদ্‌ পড়ে তারা মেয়েকে তুলে নিয়ে যায়। এখন বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান আয়োজনের কথাবার্তা চলছিল। এরই মধ্যে মেয়ের মৃত্যুর খবরে তাদের পুরো পরিবার এখন শোকে স্তব্ধ। নিহতের বড় ভাই মো. সাব্বিরের দাবি, বিয়ের কয়েকদিন যেতে না যেতেই নিগারের কাছ থেকে তারা জানতে পারে অন্যের সাথে স্বামী হেলালের অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করায় নিগারের উপর সব সময় নির্যাতন চালাত হেলাল। শেষ পর্যন্ত তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে পথের কাঁটা দূর করেছে হেলাল। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত করে বিচার দাবি করছি। নিহতের মামা নুরুল আবছার এটাকে সুস্পষ্ট হত্যাকাণ্ড দাবি করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান।
নিহতের স্বামী মো. হেলাল শ্বশুর পক্ষের এসব দাবি অস্বিকার করে দৈনিক আজাদীকে বলেন, বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিগার রাগ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। অনেক ডাকাডাকির পরও দরজা না খোলায় নিগারের বাপের বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। বিকেল ৫টার দিকে দরজা ভেঙে ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় নিগারকে পাওয়া যায়। সেখান থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন ।
বোয়ালখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবদুল করিম বলেন, খবর পেয়ে উপজেলা হাসপাতাল থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকার দায় না খুঁজে হাঁটাচলার নিরাপদ পরিবেশ সৃষ্টি করুন : সুজন
পরবর্তী নিবন্ধউন্নয়ন কর্মকাণ্ড সমন্বয়ে অভিভাবকত্ব চান মেয়র