বিদেশ থেকে ডামি পর্যবেক্ষক সাজিয়ে এনেছে সরকার

লিফলেট বিতরণকালে ডা. শাহাদাত

| বুধবার , ১০ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৯:৫০ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নজিরবিহীন জালিয়াতি ও কারচুপির আশ্রয় নিয়েছে সরকার। এই ডামি নির্বাচনে ডামি পর্যবেক্ষক দিয়ে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বৈধতা দেয়ার সাফাই গাইলেও জনগণ নির্বাচন প্রত্যখ্যান করেছে। এই ডামি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ডামি প্রার্থীর পর ডামি পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করেছে সরকার। নির্বাচনে পর্যবেক্ষক নিয়ে সরকারের মুখোশ উন্মোচন করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও কানাডা। ঐদেশ থেকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের নির্বাচনে তারা কোনো পর্যবেক্ষক পাঠায়নি। রাস্তায় ভিক্ষা করা মানুষকে গোসল করিয়ে বিদেশি পর্যবেক্ষক সাজিয়ে নিয়ে এসেছে সরকার। বিদেশের কিছু হিপ্পি, ড্রাগ নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় শুয়ে থাকা কতগুলো মানুষকে নির্বাচনের পর্যবেক্ষক সাজিয়েছে। তাদেরকে টাকা দিয়ে ভাড়া করে এনে দেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে। অর্থাৎ এই নির্বাচন হচ্ছে ডামি, প্রার্থী ডামি, পর্যবেক্ষকও ডামি, সব ভূয়া। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কাজীর দেউরী মোড়ে বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে ডামি নির্বাচন বর্জন করায় জণগণকে ধন্যবাদ জানিয়ে মহানগর বিএনপির লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। নেতৃবৃন্দ নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে, নুর আহম্মেদ সড়ক, কাজীর দেউরী মোড় ও কাঁচা বাজার এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ী, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির নির্বাচন বর্জন করায় ধন্যবাদ জানান। এসময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, জনগণ বিশ্বাস করে একদলীয় বাকশালী সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে না। এখানে যেটা হয়েছে, সেটা ভোট ডাকাতি আর ভোট নিয়ন্ত্রণ। চট্টগ্রামে ৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি কিন্তু সেটাকে ৪০ শতাংশ দেখানো হয়েছে। এ নির্বাচনে কোন প্রার্থী বিজয়ী আর পরাজিত সেটা ছিল পূর্বনির্ধারিত। সরকার ১৪ ও ১৮ সালের মতো ২৪ সালের নির্বাচনেও এদেশের মানুষের ভোটাধিকার ছিনিয়ে নিয়েছে। আমরা মানুষের গণতান্ত্রিক ও ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আন্দোলন করছি। আবুল হাশেম বক্কর বলেন, এই নির্বাচন কমিশন একবার বলে ২৭ শতাংশ আর একবার বলে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে। এটা স্পষ্ট যে, ভোট যত শতাংশ পড়ুক না কেন, নির্বাচন কমিশনকে শিখিয়ে দেয়া হয়েছে এত শতাংশ বলতে হবে। তারা সেটাই বলছে। এই পাতানো নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগের শোচনীয় নৈতিক পরাজয় হয়েছে। এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, আবদুল মান্নান, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. কামরুল ইসলাম, সম্মিলিত পেশাজীবি পরিষদের আহ্বায়ক সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচি, সিএমইউজের সভাপতি সাংবাদিক মো. শাহনওয়াজ, এ্যাবের সভাপতি ইঞ্জি. সেলিম, মো. জানে আলম, মহানগর বিএনপি নেতা শিহাব উদ্দিন মোবিন, থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, হাজী বাদশা মিয়া, গিয়াস উদ্দিন ভূঁইয়া, মো. ইদ্রিস আলী, আজাদ বাঙ্গালী, নকিব উদ্দীন ভূইয়া, সাদেকুর রহমান রিপন, সৈয়দ আবুল বশর, হাসান উসমান চৌধুরী, আবু ফয়েজ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদ্বিতীয় স্বামীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ
পরবর্তী নিবন্ধবিকৃত সুরের ‘কারার ঐ লৌহ কপাট’ সরাতে হাইকোর্টের নির্দেশ