বকের মধ্যে বিভিন্ন প্রজাতি বক রয়েছে। এর আগে আমরা সাদা “গো বক” নিয়ে জেনেছি। বন্ধুরা প্রকৃতির গায়ে নিখুঁত কিছু দৃশ্য বুঝতে পারা যায় বিশেষ করে নিঃশব্দে মেলে ধরা ষরঃঃষব ঊমৎবঃ বা সাদা বকের আকাশের বুকে উড়ে চলার দৃশ্য দেখে। বাংলাদেশের সুন্দরবন থেকে গ্রামীণ মেঠোপথের ভেতরে জুড়ে থাকা হাওর বিলে লুপ্ত প্রায় এই প্রাণিটির সন্ধান পাওয়া যায়। তবে এশিয়ার মধ্যে ভারত বাংলাদেশ সহ ইউরোপ, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া সাদা বকেদের আবাসস্থান। বাংলাদেশের সুন্দরবনে সাদা বকের চমৎকার কিছু দৃশ্য দেখা যায়। আর সেখানে ঘুরতে আসা পর্যটকদের বিমোহিত করাটা সাদা বকেদের রীতিমতো স্বাভাবিক ঘটনা। এদের শরীর ধবধবে সাদা পালকে আবৃত, আছে লম্বা দুটো পা, বৃহৎ গলা ও তীক্ষ্ণ ঠোঁট। কিন্তু এদের পায়ে কোনো রকম লোম দেখা যায় না। পা দুটো কালো। তবে শরীরে কখনো রঙিন পালক ফুটতে দেখা যায়। এরা আকারে ৪০-৪৫ সেন্টিমিটার পর্যন্ত বড় হয়। বছরের ডিসেম্বর আর এপ্রিল মাসে সাদা বকেদের প্রজনন সময়। তার আগে থেকে স্ত্রী -পুরুষ বক একসাথে বাসা তৈরি করার কাজে নেমে যায়। বিশেষ করে ছোট খাটো শুকনো ডালপালা এরা বাসা তৈরি করার কাজে ব্যবহার করে থাকে। কিন্তু অরণ্যের সব চেয়ে বড় গাছটি এরা বাসা তৈরী জন্যে বেছে নেই। বাসা পূর্ণাঙ্গ তৈরী হওয়ার পর স্ত্রী সাদা বক একজোড়া ডিম দেয় তা থেকে বাচ্চা ফুটতে প্রায় ২১-২৫ দিন অবধি সময় লাগে। বাচ্চা পরিচর্যার কাজে স্ত্রী এবং পুরুষ বক দুজনই সমান ভূমিকা রাখে। বাচ্চা গুলো মূলত কীটপতঙ্গ ছোটখাটো মাছ ব্যাঙ এসব খেয়ে বড় হয়। কারণ সাদা বকেদের প্রধান খাবার পোকামাকড়, কীটপতঙ্গ, ছোটমাছ। এরা মূলত মাংসাশী প্রাণি। একটা প্রাপ্ত বয়স্ক সাদা বক দৈনিক ৫০০ গ্রাম খাবার খেয়ে থাকে। এরা প্রায় ২২ বছর পর্যন্ত বাঁচে। এদের বৈজ্ঞানিক নাম : Egretta garzetta।