হাটহাজারীতে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে মো. শরিফ(২২)নামে এক ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ করেছে তার পরিবার। সে মোহরা এলাকার সুনাইর পিতার বাড়ির প্রবাসী নুরন্নবীর পুত্র। গতকাল বুধবার ১৪ নং শিকারপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ কু্য়াইশ এলাকার ভট্টচৌধুরী বাড়ি এলাকার একটি পরিত্ত্যক্ত ডোবা থেকে মদুনাঘাট পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেছে। স্থানীয়, পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাকিব নামে এক বন্ধু শরিফকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। রাতে বাড়িতে না ফিরলে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে । কিন্তু রাতে তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। গতকাল বুধবার স্থানীয় লোকজনের তথ্যানুসারে শরিফকে খুঁজতে গিয়ে দক্ষিণ কু্য়াইশ এলাকার ভট্টচৌধুরী বাড়ি সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ডোবায় তার লাশ দেখে মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সুরুত হাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করেন। নিহত শরিফের খালাত ভাই মোঃ বাবলু জানান, গত মঙ্গলবার রাতে শরিফকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন দেখেছে। তাদের কথার সূত্র ধরে গতকাল বুধবার ভট্টচৌধুরী বাড়ী সংলগ্ন একটি পরিত্যক্ত ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
১৪ নং ইউপি চেয়ারম্যান আবু বক্কর ছিদ্দীক জানান, হাটহাজারী উপজেলা ও চাঁদগাও থানার সীমান্ত এলাকা দক্ষিণ কুয়াইশ,উত্তর মোহরা বস্তী এলাকায় শিল্প নগরীর অসংখ্য লোকজন বাসা ভাড়া করে বসবাস করে। এলকায় মাদক ব্যাবসা নিয়ে দুই গ্রুফ সব সময় মুখোমুখি অবস্থানে থাকে। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কিছু অস্ত্র ও মুখোশধারী প্রায় শতাধীক দুর্বৃত্ত স্থানীয় মফিজুর রহমানের ভবনে হামলা করে ঘরের কাচের জানালা ভাংচুর করে। শরিফ হত্যার ঘটনা মাদক ব্যাবসার জের হতে পারে। এব্যাপারে তিনি প্রশাসন ও পুলিশের সার্বিক সহযোগিতা কমনা করেন।
মধুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জব্বারুল ইসলাম জানান, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হলে তদন্ত পূর্বক ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে ।