বারইয়ারহাটে সওজের জলাশয় ও খাল দখল

মীরসরাই প্রতিনিধি | শনিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

মীরসরাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে একের পর এক চলছে দখলের মহোৎসব। বিশেষ করে বারইয়ারহাট পৌরবাজার এলাকায় এই দখল প্রক্রিয়া চলছে অব্যাহত ভাবে। বিভিন্ন সময় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ অভিযান চালালেও পরবর্তী মুহূর্তে আবার সেই পুরনো চিত্রই ফিরে আসে।

পৌরবাসীর অভিযোগে জানা গেছে, বারইয়াহাট পৌর এলাকার ঢাকাচট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন নবনির্মিত ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের দক্ষিণ পার্শ্বে বিশাল এলাকা জুড়ে পৌরসভার ময়লার ভাগাড় ছিল বিগত কয়েক বছর ধরে।

এই বিষয়ে বিভিন্ন সময় সংবাদ প্রতিবেদন প্রকাশের পর কিছুদিন সওজ ও পৌর কর্তৃপক্ষ তৎপর হলেও কিছুদিন পর সেই পূর্বের ময়লার ভাগাড়ের চিরচেনা রূপই যেন ফিরে আসে।

কিন্তু সম্প্রতি দেখা গেছে উক্ত ভাগাড়ের ময়লার উপর চলছে বালুর আস্তরণ। বালু দিয়ে ভরাট হয়ে যাচ্ছে পুরো ময়লার এলাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পার্শ্ববর্তী জনৈক দোকানি বলেন, ‘বারইয়াহাটের পৌরমেয়র ভরাট করছেন এই ভাগাড় ও জলাশয়।

যেখানে কিছুদিনের মধ্যেই দেখা যাবে হয়তো নতুন কোন দোকানপাট বা ব্যবসা কেন্দ্র বা অন্যকিছু। এভাবে বারইয়াহাট বাজারের ট্রাফিক মোডের পূর্ব পাশ থেকে চিনকি আস্তানা পর্যন্ত প্রায় কোয়ার্টার কিলোমিটারই একে একে দখল হয়েছে।

এখানে পূর্ব পাশে একটি খাল ও জলাশয় ছিল, পশ্চিম পাশে ও জলাশয় ছিল যার অস্তিত্বের চিহ্ন এখনো দৃশ্যমান। ফাঁকে ফাঁকে কোথাও এখনো কচুরিপানাময় ডোবার চিহ্ন এখনো অবশিষ্ট আছে।’

এই বিষয়ে সড়ক ও জনপথের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, ‘ইতিমধ্যে অনেক স্থানে উচ্ছেদ অভিযান হয়েছে, বারইয়াহাট এলাকায় সড়কের পাশে দখলের বিষয়ে শীঘ্রই আমরা কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবো।’

এই বিষয়ে মীরসরাইয়ের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিন বলেন, ‘যেহেতু জায়গাগুলো সওজ এর; ওরা কি ব্যবস্থা নিতে চায় সেই আলোকেই আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করবো।’

এই বিষয়ে বারইয়াহাটের পৌরমেয়র রেজাউল করিম খোকন বলেন, ‘যেহেতু বারইয়াহাট পৌর এলাকায় টেম্পু ও সেফলাইনের কোনও স্ট্যান্ড নেই। ওই স্থানে আমরা সেফলাইন স্টপেজ ও পশ্চিম পাশে একটি পার্ক করতে চাই। সওজ এর সহযোগিতা নিয়েই এই অস্থায়ী উদ্যোগ নিতে চাই আমরা।’

পূর্ববর্তী নিবন্ধকুয়াশাচ্ছন্ন মহাসড়কে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, শ্রমিকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধএক ঘণ্টার আগুনে নিঃস্ব দুই ভাই