বাঁশখালী পৌরসভায় একের পর এক ভরাট হচ্ছে প্রাচীন সব পুকুর ও জলাধার।
স্থানীয় কতিপয় ব্যাক্তির যোগসাজসে এ সব কাজ করা হলেও পৌর কর্তৃপক্ষ ও পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যত কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না।
ইতিমধ্যে কয়েকটি পুকুর নানাভাবে ভরাট করার পর শতবর্ষী কাজী পুকুর ভরাট করার কাজ চললে স্থানীয় জনগণ উপজেলা প্রশাসনকে অভিযোগ প্রদান করে।
অভিযোগ পেয়ে প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী আজ বৃহস্পতিবার (৬ মে) বিকালে বাঁশখালীর পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের শতবছরের প্রাচীন কাজী পুকুর ভরাটের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং অভিযোগের সত্যতা পান।
এ সময় পুকুর ভরাটকাজে জড়িত কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি।
বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন-১৯৯৫ এর ৬ঙ ধারা অনুযায়ী জলাধার হিসেবে চিহ্নিত জায়গা ভরাট বা অন্য কোনোভাবে শ্রেণী পরিবর্তন করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
পুকুর ভরাট কাজে জড়িতদের তাদের কার্যক্রম অনতিবিলম্বে বন্ধ করার জন্য বলা হয়। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী।