ঘন বরষার ঝর ঝর রব জলধারী মেঘ কালো,
তিমিরে থেমেছে নকশি নিবিড়ে আকাশের ভরা আলো।
শ্যামল শাড়িতে সেজেছেগো যেন যুবতি জলধী মেঘ,
ছুঁতে সংকোচ কদম পাপড়ি কুমারি মনের আবেগ!
কেমনে বরিষে রিনিঝিনি সুরে নাকি রবে ঝর ঝর,
পাতা বাহার আর কদম পাপড়ি রহিবে কি থর থর?
বৈকালি বেলা শ্রান্ত ক্লান্ত প্রকৃতির রূপ চুমি,
গোলাপ বলিছে কদম কলিকে কখন ফুটিবে তুমি?
তুমিও কি তবে আমার মতো বসে আছো পথ চেয়ে
কখন ঝরিবে বরষার জল ষোড়ষি অধরা বেয়ে?
বুক ভরে নেব বরষার স্বাদ অঝোর ঝরায় নেয়ে
আমি নাচবো রিনিঝিনি সুরে বরষার গান গেয়ে।
জল থিরথির মাধবী লতা ও ফুল করবীর ডাল
ঝিরিঝিরি হাওয়া ছুয়ে ছুয়ে যায় নকশি নায়ের পাল।
ভাটিয়ালি নেই নেই জারি সারি শুধু বরিষণ নৃত্য
আছে নব ঘন আষাঢ় গগন শুধু জল ধোয়া চিত্ত।
আমার ও মনের কুহরে যেনগো বেজে উঠে এক সুর,
বরষার জলে নিবিরে সে যেন ভেসে যায় বহু দূর।
বরষা তোমার বরষণ গাথা মহত্ত্ব অফুরান,
বাংলার মাটি সোনা দেহ খাঁটি তুমিইতো তার প্রাণ।