চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসালাম বধ্যভূমি কমপ্লেক্স বাস্তবায়ন আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বলেছেন, চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তিকে সাথে নিয়ে যে কোনো মূল্যে এটি বাস্তবায়ন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণাতেই চূড়ান্ত বার্তা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, দীর্ঘ নয় বছর এটি বাস্তবায়ন না হওয়ার পেছনের ইতিহাস জানা দরকার। সবাইকে নিয়ে অচিরেই আন্দোলনের রুপরেখা তৈরির ঘোষণা দেন তিনি।
দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানও আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে বলেন, যাঁদের জীবনের বিনিময়ে দেশ নির্মিত হয়েছে, তাঁদের রক্তের উপর কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক কর্মযজ্ঞ পরিচালনার ন্যূনতম অধিকার নেই। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা লেখক–সাংবাদিক শওকত বাঙালি বলেন, যুথবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে কিভাবে দাবি আদায় করতে হয় আমাদের জানা আছে। অবিলম্বে পাহাড়তলী বধ্যভূমির ১.৭৫ একর জায়গা উদ্ধার এবং পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স বাস্তবায়নের দাবিতে গতকাল বধ্যভূমি চত্বরে বিকেল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, চট্টগ্রাম ও পাহাড়তলী বধ্যভূমি কমপ্লেক্স বাস্তবায়ন পরিষদের যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদী গণসম্মিলনে নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন।
সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এটিএম পেয়ারুল ইসলাম প্রধান অতিথি, মফিজুর রহমান বিশেষ অতিথি এবং শওকত বাঙালি প্রধান বক্তা হিসেবে উপরোক্ত বক্তব্য প্রদান করেন। পরিষদ সদস্য সেলিম বাদশার পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ডা. মাহফুজুর রহমান, মো. রেজাউল হোসেন সুজা, অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, দীপংকর চৌধুরী কাজল, ডা. বিদ্যুৎ বড়ুয়া, মোস্তফা কামাল, শাহাবউদ্দিন আঙ্গুর প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।