ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশের দল বাংলা টাইগার্স। গত সেপ্টেম্বরে জিম্বাবুয়েতে অনুষ্ঠিত জিম–আফ্রো টি–টেন লিগের শিরোপা জয়ের পর এবার লংকান টি–টেন লিগের শিরোপাও জিতল বাংলা টাইগার্স। এর আগে কানাডা গ্লোবাল টি–টেন লিগ এবং আবুধাবী টি–টেন লিগে খেলেছে দলটি। বাংলাদেশের কোন ফ্রাঞ্চাইজি বিদেশে একই বছরে মাত্র তিন ম্যাসের ব্যবধানে দুটি টুর্নামেন্টের শিরোপা জয়ের কের্ড নাই। যা করে দেখাল বাংলা টাইগার্স। লংকান টি–টেন লিগে হাম্বানটোটা বাংলা টাইগার্স নামে খেলেছে দলটি। গতকাল অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টের ফাইনালে বাংলা টাইগার্স ২৬ রানে জাফনা টাইটান্সকে পরাজিত করে শিরোপা জয়ের উৎসবে মাতে। চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী এবং ক্রিকেট অন্তপ্রান ইয়াছিন চৌধুরী সারা বিশ্বে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের ফেরিওয়ালাতে পরিণত করেছেন নিজেকে। সে সাথে দেশের সুনামকে বিদেশের মাটিতে ছড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। গতরাতে বাংলা টাইগার্স দুর্দান্ত পারফর্ম করে শিরোপা জিতে ইতিহাস সৃষ্টি করেছে। এই শিরোপা জয়ের মাধ্যমে দল নিয়ে আরো বড় আসরে অংশ নেওয়ার চিন্তা করছেন দলটির মালিক ইয়াছিন চৌধুরী।
পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নামা হাম্বানটোটা বাংলা টাইগার্স ৩৫ রানে প্রথম উইকেট হারায়। কুশল পেরেরা ফিরেন ৯ রান করে। পরের ওভারে ফিরেন আরেক ওপেনার শাহজাদ ১১ বলে ২টি চার এবং ২টি ছক্কায় ২৬ রান করেন এই আফগান। বাংলাদেশের সাব্বির রহমান ঝড় তোলার আভাস দিয়েও ইনিংস বড় করতে পারেনি। ৮ বলে ২ ছক্কায় ১৬ রান করে আসেন সাব্বির। এরপর ৪৪ রানের জুটি গড়েন সানাকা এবং ডেনিয়েল। ১০ বলে ২১ রান করে সানাকা ফিরলে ভাঙ্গে এ জুটি। এরপর ১৬ বলে ২৬ রান করে ফিরেন ডেনিয়েল। শেষ দিকে ধনঞ্জয়া ৪ বলে ১০ এবং লাকশান ২ বলে ১০ রান করলে নির্ধারিত ১০ ওভারে ১৩৩ রান করে বাংলা টাইগার্স। জবাবে ব্যাট করতে নামা জাফনা টাইটান্স ২১ রানে টম কোহলারকে হারায়। ১০ রান করেন তিনি। আরেক ওপেনার কুশল মেন্ডিস ফিরেন ১১ রান করে। চতুর্থ উইকেটে অ্যাবেল এবং পভন রত্নায়েকে ২৬ রান যোগ করেন। রত্নায়েকে ফিরেন ১০ রান করে। এরপর অ্যাবেল একআই লড়াই করে গেছেন। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। একমাপ্রান্ত আগলে রাখা অ্যাবেল শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ২৭ বলে ৫৪ রান করে। কিন্তু তার দল থেমে যায় ১০৭ রানে। বাংলা টাইগার্সের পক্ষে ২১ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন রিচার্ড গ্লিসন। এক ওভার বল করে ৪ রানে ২টি উইকেট নিয়েছেন দাশুন সানাকা।