নগরের রাস্তাঘাট মেরামত কার্যক্রমকে আরো গতিশীল করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) যান্ত্রিক শাখায় আধুনিক পোট হোল পেচার বা রোড মেইনটেনেন্স ট্রাক যুক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, সংগৃহীত রোড মেইনটেনেন্স ট্রাকগুলো রাস্তা মেরামত খাতে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন মেশিন। যা বিশ্বের আধুনিক দেশসমূহে অত্যন্ত জনপ্রিয় মাধ্যম। এগুলো ব্যবহারের ফলে রাস্তা মেরামতে অনেকগুলো সুবিধা পাব আমরা।
গতকাল শুক্রবার দৈনিক আজাদীর সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন মেয়র। ১২ কোটি ১০ লাখ টাকায় সংগৃহীত রোড মেনটেনেন্স ট্রাকগুলো আগামীকাল রোববার সিআরবি এলাকায় উদ্বোধন করবেন তিনি। মেশিনগুলো প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, যে কোনো রাস্তায় ফাটল বা গর্ত দেখা দিলে তাৎক্ষণিক মেরামতের মাধ্যমে আরো বড় ফাটল সৃষ্টি হওয়া থেকে রক্ষা করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে দ্রুত সড়ক সংস্কারের সুফল পাবেন নগরবাসী। সিটি কর্পোরেশনেরও ভবিষ্যতের জন্য বড় ধরনের আর্থিক সাশ্রয় হবে।
তিনি বলেন, মেশিনগুলোর মাধ্যমে রাস্তা মেরামত করার সময় অন্য কোনো সাহায্যকারী মেশিন বা যন্ত্রাংশের প্রয়োজন পড়বে না। যেমন অ্যাসফল্ট প্ল্যান্ট, রোলার ও মিক্সিংবাহী ট্রাকের দরকার হবে না। এতেও আমাদের আর্থিক ও লোকবল উভয় সাশ্রয় হবে। মেশিনগুলোতে মিক্সার তৈরির উপকরণ যেমন ইট, বিটুমিন, কংক্রিট ইত্যাদি দিয়ে রাখব। যেখানে প্রয়োজন হবে সেখানে অটো মিক্সার তৈরি করে সংস্কার করব। এতে কাজটাও অনেক সহজ হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, শুষ্ক মৌসুম শুরু হয়েছে। আগামী বর্ষার আগ পর্যন্ত যে কয়েক মাস সময় আমরা পাব তার মধ্যেই শহরের ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলো সংস্কার করার পরিকল্পনা আছে। পোর্ট কানেকটিং রোড ও আইস ফ্যাক্টরি রোডসহ অনেকগুলো রাস্তা ঠিকাদারের মাধ্যমে সংস্কার করা হচ্ছে। কাজের মান ঠিক রেখে দ্রুত এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারদের নির্দেশনা দিয়েছি। প্রকৌশলীদের কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি তারা যেন যথাযথ তদারকি করেন। আমি নিজেও নিয়িমিত পরিদর্শন করে কাজের মান এবং গতি পর্যবেক্ষণ করছি। যেমন গত রাতে (বৃহষ্পতিবার) পোর্ট কানেকটিং রোডে গেলাম। আমি কিন্তু আগে থেকে বলে যাচ্ছি না। ফলে উপস্থিত হয়ে সঠিক চিত্র দেখতে পাচ্ছি।
মেয়র বলেন, দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে রাস্তা সংস্কারসহ নাগরিক দুর্ভোগ লাঘবে যা যা প্রয়োজন তা অত্যন্ত আন্তরিকার সাথে করে যাচ্ছি। সড়কের তালিকা করে প্রকৌশল বিভাগের মাধ্যমে প্যাচওয়ার্ক করেছি। মেয়র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, অনেক ক্ষেত্রে সড়ক আমরা সংস্কার করার পর চটগ্রাম ওয়াসা আবার কেটে ফেলে। এদিকে ঠিক করলাম, ওইদিকে তারা খোঁড়াখুঁড়ি করে। এতে জনভোগান্তি বাড়ছে। এ ভোগান্তি নিরসনে তাদের বার বার বলে আসছি।