রাফি স্মৃতি মহানগরী জুনিয়র (অনূর্ধ্ব–১৮) ক্রিকেট লিগের ফাইনালে উঠেছে বাদশা মিয়া স্মৃতি সংসদ ও জে.ডি.সি ক্রিকেট একাডেমি। গতকাল শনিবার দামপাড়া পুলিশ লাইনস্ মাঠে অনুষ্ঠিত প্রথম সেমিফাইনাল খেলায় বাদশা মিয়া স্মৃতি সংসদ ৭ উইকেটে ব্রাইট ক্রিকেট একাডেমিকে পরাজিত করে। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্রাইট ক্রিকেট একাডেমি ১৮.২ ওভার খেলে সব উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন ইব্রাহিম। এছাড়া ইব্রাহিম খলিল ১৪ এবং মারুফুল আলম ১১ রান করেন। অতিরিক্ত রান হয় ১৩। বাদশা মিয়া স্মৃতি সংসদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট পান মো. ইয়াছিন। এছাড়া রাহাতুল ইসলাম,মিসকাত মির এবং মো. সুমন ২টি করে উইকেট নেন। বাদশা মিয়া স্মৃতি সংসদ ব্যাট করতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় এবং লিগের প্রথম দল হিসাবে ফাইনালে উঠার গৌরব অর্জন করে। তারা ১২.৪ ওভার খেলে ৮৭ রান করে। বিজয়ী দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেন তুহিন ফরহাদ। এছাড়া তারিফ বিন আলম ১৯ রান করেন। অতিরিক্ত রান হয় ১৭। ব্রাইট একাডেমির জাহাঙ্গির আলম ২ টি উইকেট নেন। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন বাদশা মিয়া স্মৃতি সংসদের মো. ইয়াছিন। তার হাতে ট্রফি তুলে দেন সাবেক জেলা ক্রিকেটার আলী তারেক পারভেজ। এই সময় উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেট কমিটির সম্পাদক ফরিদ আহম্মাদ, সদস্য নওশাদ আলম চৌধুরী। একই ভেন্যুতে দিনের দ্বিতীয় সেমি–ফাইনালে জে.ডি.সি ক্রিকেট একাডেমি ৪ রানে জুনিয়র ট্রেনিং ক্রিকেট একাডেমিকে পরাজিত করে। টসে জিতে জে.ডি.সি ক্রিকেট একাডেমি প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৭.১ ওভারে ৮৪ রান করে। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৯ রান করেন ফয়সাল। এছাড়া শাকিল ১০, তাসনিমুল শামিন ১২ রান করেন। অতিরিক্ত রান হয় ২৭। জুনিয়র একাডেমির পক্ষে সোহাইল আমান, অন্তর দাশ এবং আদিল চৌধুরী প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। ৮৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ২০ ওভারে ৮০ রানে অল আউট হয় জুনিয়র ট্রেনিং ক্রিকেট একাডেমি। তাদের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন মিজবাহুল হক ২৯। এছাড়া রান ইমতিয়াজ হক ১৭ রান করে। অতিরিক্ত রান হয় ১৬। জেডিসির পক্ষে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন মিনহাজুল হক। আরজু ২টি উইকেট পান। এ খেলায় ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন মিনহাজুল হক। তার হাতে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচের ট্রফি তুলে দেন সাবেক জেলা ক্রিকেটার সিরাজুল হক খান।
