কিছু কিছু আলেম ফতোয়া দিচ্ছেন মন্তব্য করে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, আমরা আপনাদের সম্মান করি। কিন্তু ফতোয়া দিয়ে, অপ্রাসঙ্গিক কথা বলে নিজেদের ছোট করবেন না। কোথায় কি ছবি উঠবে, কোথায় কোন ভাস্কর্য নির্মাণ করা হবে-সেটা দেখা আপনাদের কাজ নয়। আপনারা ছবি, মূর্তি, ভাস্কর্য নিয়ে অপ্রাসঙ্গিক আলোচনা না করে সৃষ্টিশীল এবং সমাজ বিনির্মাণের জন্য, মানুষের আধ্যাত্মিক উন্নয়নের জন্য কাজ করুন। গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে জেলা পরিষদের সদস্য ও শাহিদা আখতার জাহানের লেখা ‘অপ্রতিরোধ্য শেখ হাসিনা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। আলেম সমাজকে পিছিয়ে থাকার চিন্তা পরিহার করতে হবে উল্লেখ করে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, একসময় ছবি না তোলার কথা আমাদের দেশে বলা হতো, কিন্তু এখন ছবি না তুললে আপনি হজ্বে যেতে পারবেন না। সৌদি আরবের সরকার একটি চ্যানেল বানিয়েছে, সেখানে সারাদিন কাবা শরীফের তাওয়াফ হচ্ছে-সেটা দেখাচ্ছে। আপনারা মানুষকে পবিত্র করার জন্য কাজ করুন। মানুষকে অনিয়ম-দুর্নীতি থেকে দূরে থাকতে উদ্বুদ্ধ করুন। সহিংসতা, ধর্ষণ-এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলুন। গুণগত কাজ করুন। এতে আলেম হিসেবে আপনাদের প্রতি আমাদের সম্মান অনেক বেড়ে যাবে। একসময় ছবি না তোলার কথা আমাদের দেশে বলা হতো, কিন্তু এখন ছবি না তুললে আপনি হজ্বে যেতে পারবেন না। সৌদি সরকারের একটি চ্যানেল আছে, সেখানে সারাদিন কাবা শরীফের তাওয়াফ হচ্ছে সেটা দেখাচ্ছে। একসময় এরা বলেছিল যে-টেলিভিশন দেখা যাবে না। এই ধরনের পিছিয়ে থাকার চিন্তাভাবনা না করে আপনারা আমাদের তরুণ সমাজকে বলেন, মেয়েদের-মায়েদের সম্মান করতে। নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে, ছোট ছোট বাচ্চারা বলাৎকার হচ্ছে- এগুলোর বিরুদ্ধে কথা বলেন। আপনারা বলেন, এগুলো হারাম। মানুষকে দুর্নীতি থেকে দূরে থাকার জন্য আপনারা বলেন যে, চুরি-দুর্নীতি করলে হাসরের ময়দানে জবাব দিতে হবে। মানুষকে পবিত্র করার কাজ করেন। অপ্রাসঙ্গিক কাজ করে নিজেদের ছোট করবেন না, আমাদের ছোট করবেন না। আমরা আপনাদের সম্মান করি।
প্রফেসর ড. বিকিরণ প্রসাদ বড়ুয়ার সভাপত্বিতে প্রধান আলোচক ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শিরীণ আখতার, মুখ্য আলোচক ছিলেন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘অপ্রতিরোধ্য শেখ হাসিনা’ বইটি একটি মাইলফলক। বইটি এক সময় কালের সাক্ষী হয়ে থাকবে। বইয়ে অপ্রতিরোধ্য নেত্রীর সাথে বাস্তবের নেত্রীর উন্নয়নের মহোৎসবের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবু সাঈদ, জেলা পরিষদের সদস্য জাফর আহমদ, চবি প্রফেসর ড. সুকান্ত ভট্টাচার্য, প্রেসিডেন্সি ইন্টারন্যাশনাল গ্রামার স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ইফতেখাব চৌধুরী, কর্ণফুলী উপজেলার শিক্ষা অফিসার মহিউদ্দীন মোহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক মাসুম চৌধুরী, উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের সদস্য দিলুয়ারা ইউসুফ, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী, মোহাম্মদ নাজিন উদ্দিন, জামাল উদ্দীন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার রমিজ উদ্দীন প্রমুখ। বইটি প্রকাশ করছে নগরীর ‘চন্দ্রবিন্দু’।
উল্লেখ্য, গ্রন্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক জীবনের সাফল্য ও সংগ্রামের পাশাপাশি রাষ্ট্র পরিচালনায় দূরদর্শিতা ও দক্ষতার অনুকরণীয় দিকগুলো উঠে এসছে।