প্লাস্টিক ও পলিথিন জাতীয় পণ্য নিষিদ্ধে আইনের সঠিক বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন ক্যাব চট্টগ্রামের সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে নগরীর সার্কিট হাউসের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ব ভোক্তা অধিকার দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ দাবি জানান। আলোচনা সভার আয়োজন করেন জেলা প্রশাসন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও কনজ্যুমার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
নাজের হোসেন বলেন, রমজান ঘনিয়ে আসতেই দেখা যাচ্ছে, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজারগুলোতে সয়লাব করছে প্লাস্টিক ও পলিথিন পণ্য। ব্যবসায়ীদের মধ্যে কিছু আছে যারা এসব নিয়ে বেপোরোয়া মনোভাব দেখা যাচ্ছে। অতীতেও এমনটা হয়ে আসছে। বিদ্যমান আইনগুলোর তৎপরতা নেই বলে ভোক্তারা অসহায় হয়ে পড়েছে। তাই ভোক্তাদের রক্ষায় আমরা প্রশাসনের ভূমিকা চাই। একই সাথে আমরা সংশ্লিষ্টদের প্রতি বিদ্যমান আইনগুলোর সঠিক বাস্তবায়নের দাবি জানাচ্ছি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার জহিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-পরিচালক মো. শাহবুদ্দিন, চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মাহবুবুল আলম।
অনুষ্ঠানে প্রতিপাদ্য বিষয়ে আলোচনা করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক ড. খালেদ মিসবাহুজ্জামান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার খন্দকার জহিরুল ইসলাম বলেন, প্লাস্টিক ও পলিথিন জাতীয় পণ্য যত্রতত্র আমরাই নিক্ষেপ করছি। অন্য কোথাও থেকে কেউ এসে ফেলে না। আমাদের কারণেই তো পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। আমরা যদি সচেতন হই, পরিবেশের ক্ষতি থেকে বাঁচতে পারবো। তিনি বলেন, যেখানে সেখানে খাবার, ময়লা ফেললে জরিমানা করা যেতে পারে। এ জন্য সব জায়গায় বক্সবা ঝুড়ি নিশ্চিত করতে হবে। যাতে করে সাধারণরা যেখানে সেখানে উচ্ছিষ্ট না ফেলে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা আরও বলেন, সমাজে ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে সবার আগে প্রয়োজন সাধারণ ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের সচেতনতা। সবাই সচেতন হলে খাদ্যে ভেজাল, ভোক্তা অধিকার বিরোধী অপরাধ দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।