প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কাছ থেকে দেখা হয়নি তৃণমূল আওয়ামী লীগ কর্মী জহিরুল ইসলাম বাচার (৪৭)। ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ডে মিছিল সহকারে প্রবেশের সময় হঠাৎ অসুস্থতাবোধ করেন জহিরুল ইসলাম। পরে তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। গতকাল রবিবার খুব সকালে চন্দনাইশ উপজেলার হাশিমপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের করইল্লামুড়া থেকে নেতাকর্মীদের সাথে এসেছিলেন জনসভায়। বেলা সাড়ে ১১টার সময় এই ঘটনা ঘটে। তার মৃত্যুতে গভীর সমবেদনা প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম- ১৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী। সারাজীবন তৃণমূলে থেকে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন।
গতকাল বিকেলে হাশিমপুর ইউনিয়নের করইল্লামুড়া গ্রামে জহিরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় ভাঙাচোরা একটি টিনের ঘরে স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ১ মেয়ে নিয়ে কষ্টের জীবন যাপন তাঁর।
জহিরুল ইসলামের মামা সম্পর্কিত মো. ইসলাম মিয়া জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ডে জনসভায় আসবেন এ জন্য তিনি গত কিছুদিন ধরে এলাকায় ব্যাপক প্রচারণা চালান। গত শনিবার গভীর রাত পর্যন্ত স্থানীয় লোকজনকে জনসভায় যাওয়ার জন্য বুঝিয়েছেন। জনসভার আগে নজরুল ইসলাম চৌধুরী এমপির দেয়া টি-শার্ট, মাথার ক্যাপ বিতরণ করেছেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস প্রধানমন্ত্রীকে দেখার আগেই চলে গেলেন না ফেরার দেশে।
তিনি আরো জানান, জহিরুল ইসলামের বড় ছেলে মো. জিমন (১৮) চট্টগ্রামের একটি কলেজে একাদশ ২য় বর্ষের ছাত্র, মেয়ে সাদিয়া সুলতানা লিজা (১৫) স্থানীয় স্কুলের ১০ শ্রেণীর ছাত্রী, আরেক ছেলে কামরুল ইসলাম রিয়াদ (১৩) ৮ম শ্রেণীতে পড়ছে আর ছোট ছেলে মো. নাঈম ইসলাম (১০) ৫ম শ্রেণীতে পড়ছে। জহিরকে হারিয়ে এখন পুরো পরিবারটিই পড়ে গেলো মহা সংকটে।
হাশিমপুর ইউপি চেয়ারম্যান এড. খোরশেদ বিন ইসহাক জানান, মিছিল সহকারে সভাস্থলে যাওয়ার পথে অসুস্থ বোধ করেন জহিরুল ইসলাম। এ সময় দ্রুত তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকের সাথে কথাও বলেন জহির ইসলাম বাচা। চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বাদ এশা স্থানীয় জামে মসজিদ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।