অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের পক্ষে আংশিক যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়েছে। গতকাল চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আব্দুল মজিদের আদালতে তাদের আইনজীবী যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। দুদক পিপি মাহমুদুল হক আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রদীপ–চুমকির পক্ষে আগামী ১৪ জুলাই অবশিষ্ট যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হবে। আদালত সূত্র জানায়, এ মামলায় ২০ জুন রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন হয়। এর আগে ১২ জুন সাফাই সাক্ষ্য শেষ হয়। ৬ জুন প্রদীপ–চুমকিকে ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় পরীক্ষা করা হয়। এ সময় তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এরও আগে ২৯ মে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আসামিপক্ষের আইনজীবীর জেরা করার মাধ্যমে এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রমের ইতি টানা হয়। মামলায় মোট সাক্ষ্য দিয়েছেন ২৪ জন।
দুদকের এ মামলায় শুরু থেকে পলাতক থেকে ২৩ মে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন প্রদীপের স্ত্রী চুমকি কারন। আদালত আবেদন নাকচ করে ওইদিন তাকে কারাগারে পাঠায়। অন্যদিকে মামলার প্রধান আসামি প্রদীপ কুমার দাশ ঘটনার পর থেকে কারাগারে আছেন। টেকনাফে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে গেলে পরে এ মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আদালত সূত্র জানায়, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট দুদক চট্টগ্রাম কার্যালয়–২ এর উপ–সহকারী পরিচালক রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে প্রদীপ ও চুমকির বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ৪ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
