পেনশনভোগীসহ সব সরকারি কর্মচারীকে মহার্ঘ ভাতা দেবে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান গতকাল রোববার তার দপ্তরে গণমাধ্যমকর্মীদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে বলেই কমিটি করা হয়েছে। কত শতাংশ মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে সে বিষয়ে কমিটি সুপারিশ করবে। আপার লিমিট এবং লোয়ার লিমিট নির্ধারণ করে দেওয়া হবে। স্টাফদের হয়তো একটু বেশি থাকতে পারে। পেনশনাররাও মহার্ঘ ভাতা পাবেন। মহার্ঘ ভাতার দুটি স্ল্যাব হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, অফিসারদের জন্য একটু কম এবং স্টাফদের জন্য একটু বেশি দেওয়া হবে। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের।
মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে সুপারিশ দিতে মুখ্য সচিবকে প্রধান করে একটি কমিটি করেছে সরকার। এই কমিটি আরও দুটি সভা করে তাদের সুপারিশ চূড়ান্ত করবে বলে জানান কমিটির সদস্য জনপ্রশাসন সচিব।
তিনি বলেন, সরকার শুধু সিদ্ধান্তই নেয়নি, একটা কমিটিও করে দিয়েছে। যে কমিটিতে আমিও আছি। এজন্য আমি আপনাদের মাধ্যমে সব শ্রেণীর সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারী যারা আছেন, তাদের জন্য একটা বার্তা অথবা সুখবর দিতে চাই, যেহেতু পে–কমিশন করা একটা দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য একটা মহার্ঘ ভাতা কমিটি হয়েছে। আমরা সামনের সপ্তাহের প্রথম মিটিং করব, এখানে একটা স্ট্র্যাটেজি অথবা কৌশল ঠিক করব, কীভাবে আপার লিমিট থেকে লোয়ার লিমিট ঠিক করে, ইনক্লুডিং পেনশনার। এবার যেন পেনশনাররা মহার্ঘ ভাতা পান, সে ব্যাপারে সরকার একমত।
সিনিয়র সচিব বলেন, এটা খুবই একটা সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত, যেন মহার্ঘ ভাতা দেওয়া যায়। আমাদের চেষ্টা থাকবে ফাস্টেস্ট পসিবল টাইমে সরকারকে সাজেশন দেওয়া। সরকারকে সাজেশন দিলে সরকার ইমপ্লিমেন্ট (বাস্তবায়ন) করবে। এটা যত তাড়াতাড়ি করা যায় তত মঙ্গল।
মহার্ঘ ভাতা কি সরকার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এমন প্রশ্নে জনপ্রশাসন সচিব বলেন, অবশ্যই। মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হবে বলেই তো কমিটি গঠন করেছে। কত শতাংশ দেওয়া হবে সে বিষয়ে তিনি বলেন, সেটা এই কমিটি সুপারিশ করবে। একটা আপার লিমিট এবং একটা লোয়ার লিমিট দেওয়া হবে, অবশ্যই দেওয়া হবে।
সিনিয়র সচিব বলেন, আগে কখনো এটা ছিল কিনা, এবার আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি পেনশনাররাও যেন বেনিফিট পায়। কারণ পেনশনাররা এমনি যখন যান চিকিৎসা, এটা–সেটা, টাকা–পয়সা, ভাড়া; পেনশনারদের বেশি দরকার। একটা লোক চাকরিতে থাকলে পার্টটাইম অনেক কিছু করতে পারে। কিন্তু পেনশনাররা এমনি অসুস্থ, বয়স্ক। তাদের মেডিসিন কস্ট (চিকিৎসা খরচ) প্রতি মাসে অনেক বেশি লাগে। একেবারে পিওন থেকে হায়েস্ট লেভেল কেবিনেট সেক্রেটারি পর্যন্ত সবাই পাবে। তবে এটার স্ল্যাব দুইটা হতে পারে, অফিসারদের জন্য একটু কম যেন ব্যালান্সিং হয়। এই কমিটি কত দিন কাজ করবে–জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, আমরা যদি সামনের সপ্তাহে বসি তাহলে দুইটা–তিনটার বেশি মিটিং লাগবে না।