পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকায় বোর্ডিং স্কুল (থাকা–খাওয়ার ব্যবস্থাসহ বিদ্যালয়) বেশি প্রয়োজনীয় মনে করছেন রাঙামাটির নতুন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, আমি কালকেই (গত রোববার) জেনেছি, রাঙামাটিতে প্রায় এক হাজারের কাছাকাছি শিক্ষকের পদ খালি। প্রাথমিক বিদ্যালয় তো শিক্ষার্থীদের জন্য ফাউন্ডেশন। এখানে পাহাড়ের ছেলে–মেয়েরা অনেক দূর–দূরান্ত গিয়ে পড়াশোনা করে। আমি মনে করি এখানে বোর্ডিং স্কুল প্রয়োজন। আমি এই বিষয়টা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করব।
ডিসি হাবিব উল্লাহ বলেন, এই অঞ্চলের পাহাড়ি–বাঙালি সকলেই গরিব। লেক (কাপ্তাই হ্রদ) নিয়ে আপনারা আজীবন চলবেন, এটা ভুলে যেতে হবে। আপনার–আমার সন্তানকে বিকল্প শিক্ষা দিতে হবে। তাদের স্কিল দিতে হবে। তাদের স্কিল দিলে তারা ভালো কাজ করবে; বিদেশে যেতে পারবে। আমাদের সকলকে মিলে–মিশে চলতে হবে।
সভায় রাঙামাটির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নাসরীন সুলতানা, জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. শামীম হোসেন, রাঙামাটি প্রেসক্লাব সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি সৈকত রঞ্জন চৌধুরী, রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি সুশীল প্রসাদ চাকমা, সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি নন্দন দেবমাথ, জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি শান্তিময় চাকমা, পার্বত্য সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মিল্টন বড়ুয়াসহ জেলায় কর্মরত সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। এ সময় রাঙামাটির সাংবাদিকরা জেলায় শিক্ষা, চিকিৎসা, পর্যটন ও অর্থনীতিকে প্রাধান্য দিয়ে নতুন জেলা প্রশাসককে কাজ করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার নতুন জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায় যোগদান করেন অর্থ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ হাবিব উল্লাহ। বিসিএস (প্রশাসন) ২৭ ব্যাচের এই কর্মকর্তার গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলায়। পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রসঙ্গে তার ধারণা উঠে এসেছে সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি আলোচনায়।