দীর্ঘদিন উত্তাপ ছাড়িয়ে অবশেষে পাইকারীতে কমছে আদা রসুনের দাম। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চীনা রসুন কেজিতে কমেছে ১৫ টাকা এবং আদার দাম কমেছে ৫ টাকা। তবে অপরিবর্তিত আছে পেঁয়াজের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে বর্তমানে পেঁয়াজ, রসুন ও আদার পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে। ফলে দামও কমতির দিকে রয়েছে।
গতকাল চাক্তাই–খাতুনগঞ্জের পাইকারী বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে চীনা রসুনের দাম কেজিতে ১৫ টাকা কমে গিয়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায়। এছাড়া মিয়ানমারের আদার দাম কেজিতে ৫ টাকা কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। অপরদিকে ভারতীয় নাসিক পেঁয়াজের কেজি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকায় এবং দেশী পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকায়।
এদিকে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে দেশে তাহেরপুরী, বারি–১ (তাহেরপুরী), বারি–২ (রবি মৌসুম), বারি–৩ (খরিপ মৌসুম), স্থানীয় জাত ও ফরিদপুরী পেঁয়াজ উৎপাদন হয়। ফলে বছরজুড়েই কোনো না কোনো জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হচ্ছে। দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২২ লাখ টন। এর মধ্যে ১৮ লাখ টন স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয়। আর আমদানি করা হয় বাকি চার লাখ টন। মূলত এই আমদানিকৃত চার লাখ টন পেঁয়াজ বাজারের ওপর খুব বড় প্রভাব ফেলে।
খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ মিয়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস দৈনিক আজাদীকে বলেন, বাজারে দীর্ঘদিন ধরে পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশীল। পেঁয়াজের আমদানি স্বাভাবিক আছে। আবার দেশী পেঁয়াজেরও পর্যাপ্ত মজুদ আছে। অন্যদিকে মাঝখানে চীনা রসূনের বাড়তি ছিল। এখন সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। একই কারণে আদার দামও কমছে।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন দৈনিক আজাদীকে বলেন, আমাদের দেশের ভোগ্যপণ্যের বাজার সব সময় ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণে থাকে। এক সপ্তাহে দাম বাড়ছে তো আরেক সপ্তাহে কমছে। দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে করেই দাম উঠানামা করেন।
তাই প্রশাসনকে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে। যাতে কোনো ব্যবসায়ী ভোক্তাদের পকেট কাটতে না পারে।