কক্সবাজারের পেকুয়ায় স্বামীকে নৃশংসভাবে হত্যার আসামি রুমি আক্তারকে মীরসরাই থেকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম। গ্রেপ্তার আসামি রুমি আক্তার (২৫) কক্সবাজার জেলার পেকুয়া বাজারপাড়ার মৃত মো. তাজুর কন্যা।
র্যাব-৭ জানায়, মো. রিদুয়ানের সাথে দেড় বছর পূর্বে রুমি আক্তারের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই অশান্তি ও কলহ লেগেছিল। ২০২২ সালের ২৮ আগস্ট অনলাইনে লুডু খেলা নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে রুমি আক্তার এবং তার মা-বাবা ও ভাই তাদের প্রতিবেশী মো. মালেক (৪৬)-কে ছুরিকাঘাত ও পিটিয়ে হত্যা করে। রুমি আক্তারকে উক্ত ঘটনায় এজাহারনামীয় আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১৭ অক্টোবর রুমি আক্তার জামিনে মুক্তি পায়।
জামিনে মুক্তি পেয়ে সে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয় এবং কথিত প্রেমিকদের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। রুমি আক্তারের সাথে তার স্বামীর এসব বিষয় নিয়ে প্রায় সময়ই ঝগড়া ও দাম্পত্য কলহ লেগেই থাকত। দাম্পত্য কলহের জের ধরে গত ২৭ ডিসেম্বর রাতে রুমি আক্তার তার স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে খাটের ওপর কম্বল দিয়ে ঢেকে রেখে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে পালিয়ে যায়। পরদিন সাড়ে ১১ টার দিকে রিদুয়ানের মা-বাবা এবং আত্মীয়-স্বজন ঘর থেকে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানায় রুমি আক্তার এবং অজ্ঞাত আরও ৮/১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক নূরুল আবছার বলেন, মামলার এজাহারনামীয় একমাত্র আসামি রুমি আক্তারকে গ্রেপ্তারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা শুরু করা হয়। এক পর্যায়ে র্যাব-৭ জানতে পারে, রুমি আক্তার মীরসরাই থানাধীন মিঠাছড়া এলাকায় একটি ফ্ল্যাট বাড়িতে অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে গত ১১ জানুয়ারি রাত সাড়ে ১১ টার দিকে অভিযান পরিচালনা করে রুমি আক্তারকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি স্বীকার করে, দাম্পত্য কলহের জের ধরে সে তার স্বামীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।