পর্যটক জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী

প্রতিদিন সেন্টমার্টিন যাওয়ার কথা ১-২ হাজার, যাচ্ছে পাঁচ হাজারের অধিক

টেকনাফ প্রতিনিধি | শনিবার , ১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ at ৮:১৪ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফের দমদমিয়া জেটি ঘাট থেকে প্রতিদিনই নয়টি জাহাজ পর্যটকদের নিয়ে সেন্টমার্টিন যায়। আবার বিকেলে টেকনাফের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। এসব জাহাজগুলো টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে অনিয়ন্ত্রণহীনভাবে চলছে। যাত্রী পরিবহনের নেই নিয়মনীতির বালাই। এছাড়া করোনাকালীন মানছে না স্বাস্থ্যবিধি। এতে আইন-কানুনের তোয়াক্কা করছে না এমন অভিযোগ পর্যটকদের।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টায় দমদমিয়া জাহাজ ঘাটে সরেজমিন দেখা যায়, পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। অতিরিক্ত দামে অনেক পর্যটক টিকেট কিনছেন। ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী উঠিয়ে জাহাজগুলো সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে। এ সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেলেও কোনো নিদের্শনা দেখা যায়নি। নেই প্রশাসনের নজরদারি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাহাজের মোট ধারণক্ষমতা অনুযায়ী প্রতিদিন সেন্টমার্টিনে যাওয়ার কথা ১-২ হাজার পর্যটক। কিন্তু বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে পর্যটক যাচ্ছে পাঁচ হাজারের অধিক। অপরদিকে অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে সমদ্র পথে যেমন রয়েছে ঝুঁকি, তেমনি পর্যটকদের পড়তে হচ্ছে নানা দুর্ভোগে। পোহাতে হয় ভোগান্তি।
একদিকে পরিবেশ প্রতিবেশ সংকটে সেন্টমার্টিন, অপরদিকে জেটির বেহাল দশা। সেই অবস্থায় পর্যটকের চাপে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশংকা করছেন সচেতন মহল। পর্যটকদের অভিযোগ, জাহাজে ধারণক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি যাত্রী নেয়া হয়। এছাড়া টিকিটের বাইরেও প্রচুর যাত্রী জাহাজে ওঠে। এভাবে ঝুঁকি নিয়ে সমুদ্র যাতায়াতে জাহাজগুলোর স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিকার চেয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চান পর্যটকরা।
এসব অভিযোগের ব্যাপারে কথা বলতে নারাজ জাহাজ কর্তৃপক্ষ। তবে অতিরিক্ত যাত্রী ও টাকা বেশি নেওয়ার অভিযোগ পেলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পারভেজ চৌধুরী। ঢাকা থেকে আসা নাসিম হায়দার নামের এক পর্যটক বলেন, গত তিন বছর আগে ৫৫০ টাকায় কেয়ারি সিন্দাবাদ জাহাজ করে সেন্টমার্টিনে গিয়েছিলাম। কিন্তু এবার টিকিট কিনতে হয়েছে ১১শ’ টাকায়। এছাড়া জাহাজে পর্যটকদের অনেক করুণ অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়।
জানা যায়, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌপথে চলাচলকারী পর্যটকবাহী জাহাজে মাথাপিছু ভাড়া নির্ধারণ করা আছে। তবে তা মানে না জাহাজ কর্তৃপক্ষ। তারা পর্যটকদের কাছে ইচ্ছে মত ভাড়া আদায় করে যাচ্ছেন। সুকৌশল অবলম্বন করে ৯টি জাহাজের টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি করেছেন। তাছাড়া জেটি ইজারার নামে মাথাপিছু নেওয়া হয় একশত ২০ টাকা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেচ প্রকল্পের ড্রেনে ডুবে শিশুর মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধমীরসরাইয়ে কাশেম মেম্বার হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার