পরৈকোড়া রণক্ষেত্র, চেয়ারম্যান ও পুলিশসহ আহত ১৫

মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, তিন ঘণ্টা সড়ক অবরোধ

আনোয়ারা প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৪ জুন, ২০২২ at ৭:২৩ পূর্বাহ্ণ

আনোয়ারার পরৈকোড়া ইউপি উপনির্বাচনে নৌকার প্রার্থী আজিজুল হক চৌধুরী বাবুলের পক্ষে প্রচারণা শেষে ফেরার পথে হামলার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাতটায় পরৈকোড়া ইউনিয়নের ছত্তারহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। হামলায় বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াছিন হিরুসহ ১৫ জন নৌকার সমর্থক আহত হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা এ হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

তবে এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজিম উদ্দিন সুজনের ওপর নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের হামলা করার অভিযোগ ওঠে। এরই জের ধরে সুজনের কয়েক শতাধিক সমর্থক লাঠিসোঁটা নিয়ে বিকাল ৫টা থেকে ছত্তারহাট এলাকায় তিন ঘণ্টারও বেশি সময় সড়ক অবরোধ করে। তারা ১০টির বেশি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও দুটিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এ সময় ছত্তারহাট মুরালি সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এ সময় হামলায় মো. কামাল (২৭) নামে এক পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়।

গুরুতর আহত কয়েকজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ঘটনার পর থেকে হামলাকারীদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।

গতকাল ছিল পরৈকোড়া ইউনিয়নের নির্বাচনী প্রচারপ্রচারণার শেষ দিন। অভিযোগ করা হয়েছে, স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজিম উদ্দিন সুজনের ওপর ইউনিয়নের লালার হাটে নৌকার সমর্থকরা হামলা চালায়। এরপর হামলার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে সুজনের কয়েকশ সমর্থক ছত্তারহাট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে। এ সময় ছত্তারহাট এলাকায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে ফেরার পথে বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী, সাবেক চেয়ারম্যান ইয়াছিন হিরু, যুবলীগ নেতা জালাল উদ্দিনসহ ১৫ জনের বেশি নৌকার সমর্থকের ওপর হামলা চালানো হয়। পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুজনের সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক এম এ মান্নান চৌধুরী বলেন, আহতরা হাসপাতালে ভর্তি আছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

আওয়ামী লীগ মনোনীত (নৌকা প্রতীক) প্রার্থী আজিজুল হক চৌধুরী বাবুল অভিযোগ করেন, নৌকার নির্বাচনী প্রচারণা শেষে বাড়ি ফেরার পথে ছত্তারহাট এলাকায় আমার ১৫ জনেরও বেশি সমর্থকের ওপর স্বতন্ত্র প্রার্থী ও তাদের লোকজন হামলা চালায়। এ সময় হামলাকারীরা মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে ও ভাঙচুর করে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত করে। তিনি বলেন, নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় দেখে হামলাকারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী নাজিম উদ্দিন সুজন বলেন, আমি আমার সমর্থকদের নিয়ে ইউনিয়নের লালার হাটে নির্বাচনী কার্যালয়ে অবস্থান করার সময় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা আমার ওপর হামলা করে। এতে আমি ও আমার কয়েকজন সমর্থক আহত হই। হামলার প্রতিবাদে আমার সমর্থকেরা ছত্তারহাট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার সময় পুলিশ সদস্যও আহত হয়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅগ্নিকাণ্ডে নাশকতার যোগ থাকতে পারে : তথ্যমন্ত্রী
পরবর্তী নিবন্ধপতেঙ্গায় কন্টেনার ডিপোতে ধোঁয়া, আতঙ্ক