পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের হস্তক্ষেপে টেকনাফে বন্ধ হলো পাহাড় কাটা। গত সোমবার রাত ৯টার দিকে টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর এলাকায় এ পাহাড় কাটা বন্ধ করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরী বলেন, পরিবেশ উপদেষ্টার নির্দেশে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাহাড় কাটা বন্ধ করা হয়েছে। এ সময় পাহাড় কাটায় জড়িত অভিযোগে হেলাল উদ্দিন নামে একজনকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর এলাকায় দুই দিন ধরে দিন–রাত প্রকাশ্যে পাহাড় কাটছে স্থানীয় সংঘবদ্ধ একটি চক্র। স্কেভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে ১০–১২টি ট্রাকে করে মাটিগুলো সরবরাহ করা হয়। চক্রটি পাহাড়ের এই মাটি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করে আসছে। কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা সারোয়ার আলম বলেন, শামলাপুর এলাকায় পাহাড় কাটার খবর পেয়ে বনবিভাগের একটা দল ঘটনাস্থলে গিয়ে তা বন্ধ করে রাখে। পরে পাহাড় কর্তনকারীরা স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার একটা অনুমতি পত্র দেখান। বিষয়টি জানার পর বনকর্মীরা ঘটনাস্থল থেকেই চলে আসেন।
জানা যায়, টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আদনান চৌধুরীর লিখিত অনুমতি নিয়ে এ পাহাড় কাটা হচ্ছে দুইদিন ধরে। গত রোববার হেলাল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে এ মাটি কাটার অনুমতি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জানার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও ফোন বন্ধ থাকায় হেলাল উদ্দিনের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এ প্রসঙ্গে ইউএনও আদনান চৌধুরী বলেন, সরকারি একটি বিশেষ প্রতিষ্ঠানের রাস্তা প্রশস্তকরণ কাজের জন্য ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি হওয়ায় এ অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।