পটিয়ায় আগুনে পুড়ে গেছে সাত দোকান। গতকাল সোমবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পৌর সদরের বৈলতলী সড়কে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে প্রায় ৫০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
জানা যায়, সেহরি খেয়ে সবাই দোকানপাট বন্ধ করে বাড়িতে ঘুমাতে গিয়েছিল। ভোর ৫টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়ে মুহূর্তেই চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পটিয়া ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। এসময় পানি স্বল্পতার কারণে তাদের হিমশিম খেতে হয়। প্রায় ১ কিলোমিটার দূরের কয়েকটি পুকুর থেকে পানি সরবরাহের পর আগুন নেভাতে সক্ষম হন তারা। ততক্ষণে আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে যায় ৭টি দোকানের আসবাবপত্র ও মূল্যবান জিনিস। আগুনে মো. আরিফ, মো. ইলিয়াছ, মো. ইরফান, মো. মাসুদ, মো. নাজিম উদ্দিন, মো. এখলাছুর রহমানের ৫টি ফার্নিচার দোকান, ১টি ওয়ার্কশপ ও ১টি মিলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত মো. এখলাছুর রহমান জানান, আমার দোকানের বেশ কিছু মূল্যবান মেশিনারিজসহ মূল্যবান ৭/৮টি মোটর পুড়ে গেছে। এতে আমার দোকানের প্রায় ৮ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস প্রায় ১ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জায়গার মালিক আবদুল কুদ্দুস বলেন, আমার দোকানে পূর্ব শক্রতার জের ধরে পরিকল্পিতভাবে আগুন লাগানো হয়েছে। এ বিষয়ে আমি থানায় অভিযোগ দেওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, আগুন লাগার পরপরই পল্লী বিদ্যুৎ, পিডিবি অফিসে একাধিকবার ফোন দিলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। যথাসময়ে বিদ্যুৎ বন্ধ করা গেলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কমানো যেত।