নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী; যার মধ্য দিয়ে মাসব্যাপী জল্পনা–কল্পনার অবসান ঘটল। গতকাল শনিবার বিকেলে নগরীর রেজিস্ট্রি মাঠে এক জনসভায় এ ঘোষণার মধ্য দিয়ে বিএনপি নেতা আরিফুল দলের সিদ্ধান্তই মেনে নিলেন। খবর বিডিনিউজের।
দুইবারের মেয়র বলেন, বিএনপি আমার প্রাণের সংগঠন। যে সংগঠনকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছি, সেই সংগঠনের ক্ষতি হোক আমি এটা চাই না। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বিএনপি নেতাকর্মীদের রক্তের সঙ্গে আমি বেঈমানি করতে চাই না।
এ সময় অনেকটা আবেগতাড়িত কণ্ঠে বিএনপি নেতা বলেন, আমি নির্বাচন করলে আপনারা দলে দলে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আমাকে ভোট দিবেন। কিন্তু সেই ভোট অন্ধকারে কার কাছে যাবে সেটা আপনারা সবাই জানেন। আমি আপনাদের এই আমানত অন্ধকারে নিয়ে যেতে চাই না। এ প্রহসনের নির্বাচনে আমি অংশগ্রহণ করছি না। তিনি বলেন, আমি আপনাদের আরিফ, আমি অন্ধকারে হারিয়ে যাব না। মেয়র থাকলেও কাজ করব, না থাকলেও করব।
এই সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে বিএনপির অংশ না নেওয়ার ঘোষণার মধ্যে আরিফের নির্বাচন নিয়ে গত বেশ কিছুদিন ধরেই সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা জল্পনা–কল্পনা চলছিল। সাধারণ ভোটার তো বটেই; দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও এ নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে ছিলেন।
সিটি নির্বাচনকে প্রহসনমূলক নির্বাচন উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, সিলেটে যে ভোট ডাকাতি হবে সেটার ইঙ্গিত আপনারা দেখছেন। নির্বাচনের মাত্র এক মাস বাকি কিন্তু এখনও ভোটাররা ইভিএম কী জানে না। ভোট ডাকাতি করার জন্য সবকটি কেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করা হবে মন্তব্য করে আরিফ দলের নেতাকর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার অনুরোধও রাখেন। আরিফ আরও বলেন, এখন আমাকে ফাঁসাতে নানা ষড়যন্ত্র করা হবে। আমি স্পষ্ট বলে দিচ্ছি, আমি আরিফুল হক চৌধুরী আল্লাহ ছাড়া কাউকে ভয় পাই না।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক কলিম উদ্দিন মিলন, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মিফতাহ সিদ্দিকীসহ নগরীর বিভিন্ন ওর্য়াডের মানুষজন উপস্থিত ছিলেন।












