দেশের ৪৭ শতাংশ মানুষ নন–ব্র্যান্ডেড (নিম্নমানের নকল ও অনুমোদনবিহীন) বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও লাইট ব্যবহার করছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। আর ব্র্যান্ড পণ্যের বাজারে ৮০ শতাংশেরও বেশি দখল আছে দেশি কোম্পানির হাতে।
বিপণন পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন ‘মার্কেটিং ওয়াচ বাংলাদেশ’ (এমডব্লিউবি) পরিচালিত এ গবেষণায় বলা হয়েছে, নন–ব্র্যান্ডেড পণ্য ব্যবহারকারীদের দেশি ব্র্যান্ডের দিকে আকৃষ্ট করতে পারলে নিরাপদ বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহার নিশ্চিত হবে যেমন, সেই সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও বৈদ্যুতিক পণ্য শিল্পের বিকাশও ঘটবে। গতকাল শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগে সংবাদ সম্মেলন করে গবেষণার ফল তুলে ধরেন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ও ও এমডব্লিউবির সহ–প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মিজানুর রহমান ও সহ–প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক নাজমুল হোসাইন। অধ্যাপক মিজানুর জানান, সংগঠনটির নিজস্ব অর্থায়নে এই গবেষণা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর ও নভেম্বর সারাদেশে জরিপ পরিচালনার মাধ্যমে গবেষণার উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। এতে শহর ও গ্রামের ২০১৬ জন ব্যবহারকারী, ১০৩ জন খুচরা বিক্রেতা, ৯৯ জন ইলেক্ট্রিসিয়ানকে নমুনা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পাঁচজন বৈদ্যুতিক পণ্য বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে।
গবেষণার আওতায় আনা পণ্যগুলো ছিল– সুইচ, সকেট, হোল্ডার, মাল্টি–প্লাগ, সার্কিট ব্রেকার, মিটার এবং বিভিন্ন হালকা পণ্য যেমন এলইডি লাক্স, এলইডি টিউব, এলইডি প্যানেল, ব্র্যাকেট এলইডি, জিএলএস, এনার্জি এফিসিয়েন্সি বাল্ব, ইমার্জেন্সি লাইটিং অপশনস।
গবেষণায় দেখা যায়, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ও লাইটিং পণ্যের ব্র্যান্ড বাজারে ৮০ শতাংশেরও বেশি বাজার দখল করে আছে দেশি কোম্পানি। ইলেক্ট্রিক্যাল সরঞ্জামের মার্কেট শেয়ারে সুপার স্টার ২৯ শতাংশ, ওয়ালটন ১৭ শতাংশ, ক্লিক ১৭ শতাংশ, এনার্জিপ্যাক ৯ শতাংশ, ওসাকা ৪ শতাংশ এবং ব্লিঙ্ক, এমইপি ও লাক্সারি প্রত্যেকে ৩ শতাংশ করে বাজার দখল করে আছে।