চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বৌদ্ধ ছাত্র সংসদ আয়োজিত ‘মানুষের আলোতে কাটুক ধর্মান্ধতার তমসা, পৃথিবীর বুকে শান্তির বারতা আসুক সহসা, এ স্লোগানকে ধারণ করে শুভ প্রবারণা উপলক্ষে গত ১৫ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টায় গণমানুষের অস্থির মানসিক মুমূর্ষতার অবসানে বিশ্ব শান্তি ও সৌম্য সম্প্রীতির বধিষ্ণুতার প্রত্যয়ে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও ফানুস উত্তোলন অনুষ্ঠান চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পালি বিভাগের প্রফেসর এবং বিশ্ব শান্তি প্যাগোডার অধ্যক্ষ ড. জ্ঞান রত্ন শ্রমণ এবং অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন চবি পালি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অরূপ বড়ুয়া।
অনুষ্ঠানের চবির উপ–উপাচার্য (একাডেমিক) প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা। তিনি বলেন, মানুষ যখন পাপাচারে লিপ্ত হয় এবং সমাজে অন্যায়, অধর্ম, অরাজকতা সৃষ্টি করে তখনই মহামানবদের আবির্ভাব হয়। মানুষকে সত্য, ন্যায় এবং সুন্দরের পথে আনার জন্য গৌতম বুদ্ধ যখন এসেছিলেন তখন তিনি এই একটা কলুষিত সমাজকে ন্যায় এবং কল্যাণের পথে আনার জন্য চেষ্টা করেছেন।‘ তিনি বলেন, সারা বিশ্ব আজ অরাজকতায় ভরপুর। আমরা চাই না পারস্পরিক হিংসা, বিদ্বেষ এবং পাপাচারিতে লিপ্ত সমাজ, আমরা চাই সত্য, সুন্দর এবং ন্যায়ের পক্ষে সমাজ। এটি একমাত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব যদি সকল ধর্মের অনুসারীরা নিজ নিজ ধর্ম পালন করে ন্যায়বোধ ও সম্প্রীতির মাধ্যমে জীবনাদর্শ ধারণ করলেই একটা সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব। অনুষ্ঠানে উপ–উপাচার্য প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন এবং ফানুস উড়িয়ে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন।
অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ভদন্ত নিরোধানন্দ ভিক্ষু, ভূবন চাকমা, পল্লী বড়ুয়া, নিশান বড়ুয়া, পুনম বড়ুয়া নিশান ও প্রান্ত বড়ুয়া। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জনি বড়ুয়া। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।