ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপি’র প্রতিনিধি সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আজ মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে নগরীর কাজীর দেউড়ি এলাকার নাসিমন ভবনের বিএনপি কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও নগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ঘটনার সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খন্দকার উপস্থিত ছিলেন।
ঘটনার বিষয়ে উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সরোয়ার আলমগীর বলেন, “জামায়াতের ক্যাডার শওকত উল্লাহ ও আজিম উল্লাহ বাহার চেয়ার মেরে হাত ভেঙে দিয়েছে। এ ঘটনায় আমাদের ২০ জনের মতো নেতাকর্মী আহত হয়। তাদের মধ্যে ১৬ জন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে ঘরে ফিরে গেছে ও ৪ জন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।”
তিনি বলেন, “তৃণমূলের প্রতিনিধি সভা ছিল। এতে তৃণমূলের লোকজনকেই দাওয়াত দেওয়া হয় কিন্তু আজিম উল্লাহ বাহারের নেতৃত্বে জামায়াত ক্যাডার শওকত উল্লাহ ও এরশাদ উল্লাহ মিলে আমাদের ওপর হামলা চালায়। তাদের মধ্যে শওকত উল্লাহ একাধিক হত্যা মামলার আসামী।”
উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আজিম উল্লাহ বাহার বলেন, “পার্টি অফিসে উত্তেজনামূলক কথা-বার্তা হচ্ছিল। কে, কোথায়, কোনদিকে বসবে, দাঁড়াবে তা নিয়ে মূলত ঝামেলা।”
তবে কোনো ধরনের হাতাহাতি হয়নি বলে দাবি করেন বিএনপির এ নেতা।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দীন বলেন, “ফটিকছড়ি উপজেলা বিএনপি’র দুই গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কিতে কয়েকজন আহত হওয়ার ঘটনা শুনেছি। আমরা কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিব।”