রেলের বহরে যুক্ত হতে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আমদানি করা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ১০টি লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন)। গতকাল সোমবার থেকে ইঞ্জিন গুলোর ট্রায়াল শুরু হয়েছে। ট্রায়াল শেষে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন ট্রেনে যুক্ত হবে উচ্চগতির এসব ইঞ্জিন।
২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় কোরিয়া থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছায় ৩০২১ থেকে ৩০৩০ সিরিয়ালের দশটি ইঞ্জিন। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইঞ্জিন খালাস করে নিয়ে যাওয়া হয় পাহাড়তলী ডিজেল শপে।
এ ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী মো. বোরহান উদ্দিন আজাদীকে জানান, কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত ইঞ্জিনগুলোর ট্রায়াল শুরু হয়েছে। আজ (সোমবার) একটি ইঞ্জিন লাকসাম পর্যন্ত গিয়েছে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন বিভাগ থেকে জানা গেছে, গতকাল সোমবার চট্টগ্রাম রেলস্টেশন থেকে ট্রায়ালে যাত্রা শুরু করে ৩০২৯ সিরিজের ইঞ্জিনটি। দীর্ঘদিন ধরে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ইঞ্জিন সঙ্কটে বেহাল দশা চলছিল। ইঞ্জিন সংকটের কারণে দোহাজারীসহ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ রূপে ট্রেন চলাচলে হিমশিম খেতে হচ্ছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে। যাত্রীবাহী ট্রেনের পাশাপাশি ব্যাঘাত ঘটছে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলেও। রেলওয়ে কর্মকর্তারা বলছেন, কোরিয়ান ইঞ্জিনগুলো রেলের বহরে যুক্ত হলে ইঞ্জিন সংকট কিছুটা কমবে। কোরিয়া থেকে প্রথম চালানের ১০টি ইঞ্জিন ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। যথারীতি ইঞ্জিনগুলো পাহাড়তলী রেলওয়ে ডিজেল শপে দীর্ঘদিন থাকার পর রেলের বহরে যুক্ত হয়েছে। পরবর্তীতে চলতি বছরে আরো ১০টি ইঞ্জিন আসে চট্টগ্রাম বন্দরে। মূলত গত দুই বছরে হুন্দাই রোটেম কোম্পানি থেকে ৩০টি মিটারগেজ ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছে।