২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে নগরীর ডবলমুরিং, খুলশী ও কোতোয়ালী থানা এলাকায় এক কিশোর, এক যুবক ও এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। তারা হলেন ফিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মৃত শাহাবুদ্দিন খানের ছেলে ইমন হোসেন খান (১৫) কুমিল্লা জেলার মো. মনির (২২) ও নিহা আক্তার বৃষ্টি (২০)। পুলিশ জানায়, গতকাল শুক্রবার ভোর ৬টার দিকে আত্মহত্যা করে ইমন। আগ্রাবাদের রশিদ বিল্ডিং এলাকায় ঘরের চালার সাথে রশি টাঙিয়ে ফাঁস নেয় সে। ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন আজাদীকে জানান, একটা চায়ের দোকানে কাজ করতো ইমন। বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিদিনের ন্যায় দোকানের কাজ শেষ করে বাসায় ফিরেছিল। রাত জেগে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অভ্যাস ছিল তার। বিষয়টি ভালো না লাগায় ইমনের বোন তাকে বকাঝকা করেন। বিষয়টি সহ্য করতে না পেরে শুক্রবার ভোরে আত্মহত্যা করে সে।
ময়নাতদন্ত শেষে ইমনের লাশ তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে লালখান বাজার মা মনি ক্লিনিক এলাকায় আত্মহত্যা করেন মো. মনির। খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহিনুজ্জামান আজাদীকে বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মো. মনিরের লাশ উদ্ধার করি।
তিনি আরো জানান, মনির ও তার মা ওই এলাকায় একটি রুমে ভাড়ায় থাকতেন। সংসারে আয়-রোজগার না থাকায় মায়ের সাথে মান-অভিমান হয় মনিরের। মনির হতাশা থেকে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। জানা গেছে, কয়েকদিন আগে কুমিল্লায় গ্রামের বাড়িতে যান মনিরের মা। বৃহস্পতিবার রাতে ঘরে ঢুকে ছেলের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান তিনি।
এদিকে শুক্রবার (৫মার্চ) রাত ৯ টার দিকে ফিরিঙ্গিবাজার ব্রিজঘাট জাকিরের কলোনী এলাকায় সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেন গৃহবধূ নিহা আক্তার বৃষ্টি। তিনি ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার মো. আকাশের স্ত্রী। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা শীলাব্রত বড়ুয়া আজাদীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, রাত ১০ টার দিকে পুলিশ বৃষ্টিকে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নেজাম উদ্দিন আজাদীকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। এরপরও আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।












