চট্টগ্রাম শহরের ‘জঞ্জাল’ খ্যাত বিলবোর্ড উচ্ছেদ হয়েছে পাঁচ বছর আগে। তার জায়গায় এখন স্থান করে নিয়েছে সাইনবোর্ড। যত্রতত্র স্থাপিত এসব সাইনবোর্ডে সৌন্দর্যহানি হচ্ছে। তবুও অজ্ঞাত কারণে নির্বিকার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।
জানা গেছে, সাইনবোর্ড স্থাপনে সিটি কর্র্পোরেশনের রাজস্ব শাখা থেকে অনুমতি নিতে হয়। প্রতি বর্গফুট সাইনবোর্ডের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি ৮০ টাকা। অভিযোগ আছে, একটি সাইনবোর্ডের অনুমতি নিয়ে দুই থেকে তিনটি পর্যন্ত সাইনবোর্ড স্থাপন করছেন ব্যবসায়ীরা। এতে একদিকে চসিক রাজস্ব হারাচ্ছে, অন্যদিকে সৌন্দর্যহানির কারণ হচ্ছে সাইনবোর্ডগুলো। গতকাল রোববার সরেজমিনে আন্দরকিল্লা, ঘাটফরহাদবেগ ও টেরীবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য সাইনবোর্ড দেখা গেছে। দেয়ালের সাথে লাগানো হয়েছে বেশিরভাগ সাইনবোর্ড। এছাড়া মুরাদপুর, চকবাজারসহ শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানেও অসংখ্য সাইনবোর্ড দেখা গেছে।
আন্দরকিল্লা এলাকার বাসিন্দা মো. মুজাম্মেল হক আজাদীকে বলেন, চার-পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রাম শহর থেকে বিলবোর্ড উচ্ছেদ হয়েছিল। এখন দেয়ালে বিজ্ঞাপনচিত্র লাগানোর মাধ্যমে বিলবোর্ডের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। যত্রতত্র দেয়ালে, খুঁটিতে বিজ্ঞাপনী ব্যানার লাগানোর মাধ্যমে নগরীর সৌন্দর্যহানি ঘটানো হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনের উচিত এসবের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া। কারণ বড় বড় প্রতিষ্ঠানের এ ধরনের প্রচারের মাধ্যমে বড় অংকের রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা ঘটছে। চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. মুফিদুল আলম আজাদীকে বলেন, অবৈধ সাইনবোর্ড উচ্ছেদে অভিযান চালাব।