সংস্কার কাজ করতে জুন থেকে ৬ মাসের জন্য বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কালুরঘাট সেতু। ৬ মাস সেতু বন্ধ থাকলে দোহাজারী ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের তেল (ফার্নেস অয়েল) পরিবহন কীভাবে হবে? এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে পিডিবি। গতকাল কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ বাস্তবায়ন বিষয়ে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে মতবিনিময় সভায় রেলসচিব ড. মো. হুমায়ুন কবীরের উপস্থিতিতে দোহাজারী ১০০ মেগাওয়াট পিকিং পাওয়ার প্ল্যান্টের নির্বাহী প্রকৌশলী শুভাশীষ চক্রবর্তী তাদের দুশ্চিন্তার কথা জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে বিদ্যুৎ সংকটের কারণে দোহাজারী ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ২৪ ঘণ্টা চালু রাখতে হয়।
এই প্ল্যান্ট থেকে জাতীয় গ্রিডের মাধ্যমে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা হয়। একদিন ফুল টাইম প্ল্যান্ট চালাতে সাড়ে ৪শ টন জ্বালানি তেলের দরকার হয়। কিন্তু এখন ব্যবহার করতে পারি ২০০ টন। এসব জ্বালানি প্রতিদিন রেলরেকের (তেলবাহী বগিতে করে) মাধ্যমে পরিবহন করা হয়। এখন থেকে জুন মাস পর্যন্ত বিদ্যুতের চাহিদা বেশি থাকে। আমরা ১০ হাজার মেট্রিক টন পর্যন্ত মজুদ করতে পারি। ৬ মাস সেতু বন্ধ থাকলে জ্বালানি পরিবহন সংকটে পড়বে। এতে বন্ধ হয়ে যেতে পারে প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ উৎপাদন। এই মুহূর্তে দেশের চাহিদা বেশি। বিদ্যুৎ উৎপাদন খুবই জরুরি।
এ বিষয়ে রেলসচিব বলেন, পুরনো কালুরঘাট সেতুর সংস্কার কাজ শেষ করতে ছয় মাস লাগবে। তবে সেতুতে বিদ্যমান রেললাইনের সংস্কার কাজ তিন মাসের (সেপ্টেম্বরে) মধ্যে শেষ করা হবে। এই তিন মাস ট্রেন (চট্টগ্রাম–দোহাজারী রুট) চলাচল বন্ধ থাকবে। জুনে সেতু মেরামতের কাজ শুরু হবে। আরো এক মাস সময় পাওয়া যাবে। এ সময়ের মধ্যে কীভাবে স্টোরেজ বাড়ানো যায় সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেন। এছাড়া জ্বালানি পরিবহনের জন্য অতিরিক্ত রেলরেকের ব্যবস্থা করবেন বলে জানান রেল সচিব।