কৌশলগত ক্ষীণদৃষ্টি
শুধু দেশ কেন? বিশ্বখ্যাত অনেক কোম্পানিই তো মার খেয়ে গেছে তাদের পরিকল্পকদের ভবিষ্যৎ দেখার এরকম ক্ষীণদৃষ্টির কবলে পড়ে। আর যে কোন রাষ্ট্রযন্ত্রের চেয়ে আজকালকার বহুজাতিক বিশাল কোম্পানি গুলোই কি, কম শক্তিধর না কি? অবশ্য তাদের কার্যক্রম, রাষ্ট্রের চেয়ে ঢের কম জটিল। কারণ তাদের লক্ষ তো হলো শুধুই পূঁজির স্ফিতি ঘটিয়ে, পুঁজিপতির পকেট ভারী করা। যদিও আজকাল তারা সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা বলছে, এমনকি ব্যবসায়িক কৌশলের কারণে সামাজিক ব্যবসার কথাও বলছে ইনিয়ে বিনিয়ে, আসলে সে সবই হল ফাঁকা বুলি। সেক্ষেত্রে যে কোন দুর্বল রাষ্ট্রও কিন্তু সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কখনোই মুক্ত হতে পারে বলে মনে হয় না। যেমন আয় রোজগার কমে গেলে, না বলা ভাল লাভ কমে গেলে; বড় বড় বহুজাতিক কোম্পানি সমূহ প্রথম যে কাজটি করে তা হল, খরচ কমানো। আর আজকালকার অটোমেটেড আর ডিজিলাইজড সময়ে খরচ কমানোর একটা বড় রাস্তা হলো কর্মী ছাটাই করা, যা নাকি তারা করে অত্যন্ত পারঙ্গমতার সাথে আর নির্বিচারে। অথচ মুখে সারাক্ষণই গায় গান যে, মানবসম্পদ হলো কোম্পানির সবচেয়ে বড় সম্পদ! সেক্ষেত্রে একটি রাষ্ট্রের সরকার যদি ওরকম কিছু করতে যায়, তবে তার ক্ষমতায় টিকে থাকা মুশকিল, ফলে ওইরকম কিছু করার আগে তারা অনেক হিসাব নিকাশ কষে।
এছাড়া আজকালকার তুমুল প্রতিযোগিতার কালে, একটি কোম্পানি তার পূঁজিস্ফিতি ঘটানোর জন্য হোক বা অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্যই হোক, সহজেই আরেক কোম্পানির সাথে একীভূত হয়ে যায়, বা একটি কোম্পানি আরেকটি কোম্পানিকে গিলে ফেলে বেমালুম, ষ্টক মার্কেটে নানান ঘোরপ্যাঁচের খেলা খেলে। সেরকম তো একটি রাষ্ট্র করতে পারে না মোটেই , নানান রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক, ভৌগোলিক এমনকি এই গ্রহের নানান শক্তিমান দেশের চোখ রাঙ্গানোকে উপেক্ষা করে। তবে হ্যাঁ রাষ্ট্রও যে আজকাল ভিন্ন দেশে পূঁজির শক্তির জোরে নিজেদের মালিকানা নিশ্চিত করে নানাভাবে , তার প্রমাণও কিন্তু অহরহই দিয়ে যাচ্ছে এই চায়নাই। একদিকে যেমন তারা কিনে নিচ্ছে ইউরোপ আমেরিকার কোম্পানি সমূহ তেমনি তারা আফ্রিকায় কিনছে জমি; এমন কি ঋণের ফাঁদে ফেলে আফ্রিকার নানান গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র বন্দরে নিজেদের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করার ফন্দি করছে এককালের সমাজতান্ত্রিক চায়না!
আচ্ছা থাক, ঐসব অতি জটিল রাজনৈতিক আর অর্থনৈতিক বিষয়ে কোন বুলি ঝাড়ার ক্ষমতা আমি শর্মার নেই, অতএব ঐদিকে আর না গিয়ে বরং থাকি ঐ স্ট্রাটেজিক মায়োপিয়া নিয়েই। ইদানিং আরেকটি কথা শোনা যায় খুব জোরেশোরে অন্তত কর্পোরেট জগতে। বলা হয় এখন নাকি চলছে ডিজরাপ্টিভ ইনভেশনের যুগ।এ সময়ে বড় বড় বহুজাতিক কোম্পানির বাঘা বাঘা পরিকল্পকরাই অনেক সময় বুঝতেই পারেন না যে, মারটা আসছে কোনদিক থেকে!একদম ভিন্ন ধারার কোন শিল্পের অভাবনীয় উন্নতি বা আবিষ্কার যে আরেকটি শিল্পের মরণ ঘণ্টা বাজিয়ে দিতে পারে, তার উদাহরণ তো হল একসময়ের বাঘা কোম্পানি কোডাক, ফুজি, জেরঙ ইত্যাদি ইত্যাদি। যার এখন শুধু টিকে আছে নানান জনের মনে না হয় বইপত্র আর দলিল দস্তাবেজে নাম হয়ে।
যতোটা মনে পড়ে ডিজিটাল ক্যামেরা প্রথম সম্ভবত প্রথম আবিস্কার করেছিল কোডাকের বিজ্ঞানীরা। কিন্তু ঐ কোম্পানির পরিকল্পকরা ভেবেছিলেন ঐ ক্যামেরা বাজারে ছাড়লে, তাদের তখনকার রমরমা ফিল্মের ব্যাবসা উঠবে লাটে। তাই তারা সেই ক্যামেরা বাজারে না দিয়ে আঁতুড় ঘরেই সেটিকে নুন খাইয়ে মেরে ফেলতে চেয়েছিলেন। ফলে হলোটা কি? সম্ভবত সনি কোম্পানি তাদের ডিজিটাল ক্যামেরা বাজারে ছেড়ে দিয়ে, দ্রুত কোডাকের ফিল্ম আর ক্যামেরা দুটোরই বাজার দখল করে কোম্পানি হিসাবে কোডেককে বসিয়ে দিয়েছে থালা হাতে পথে! আবার পরবর্তীতে ছোঁয়াফোন এসে যে সনি ক্যামেরার সেই রমরমা বাজারের যে বারোটা বাজাবে, তাও সম্ভবত বুঝতে পারে নি সনির পরিকল্পকরা। ব্যাপারটা কি তাহলে এরকম যে গাড়ি চালাতে গিয়ে যতোই সাবধান থাকুক না কেন তার চালক, তারপরও যাকে বলে গাড়ি চালকের ব্লাইন্ডস্পট , ঐ ব্লাইন্ড স্পটের কারনে ঘটে যায় দুর্ঘটনা।
কথা হচ্ছে রাষ্ট্রের তুলনায় অনেক সরল কাঠামো আর উদ্দেশ্যে হওয়ার পরও বড় বড় বহুজাতিক কোম্পানির বাঘা বাঘা পরিকল্পকরাই যখন ভোগেন স্ট্রাটেজিক মায়োপিয়াই, সেক্ষত্রে একটি রাষ্ট্রের পরিকল্পকদের ক্ষেত্রেও সেটি ঘটা খুবই স্বাভাবিক । হোক তা বাংলাদেশ বা চায়না। তাতে কিছুই যায় আসে না । আচ্ছা এই স্ট্রাটেজিক মায়োপিয়া শব্দযুগলের লাগসই বাংলা কি হবে কৌশলগত ক্ষীণদৃষ্টি ? না মনে ধরছে না ওটা । কারণ বাংলায় কৌশলগত শব্দটি ভাবলে, ইংরেজি ট্যাক্টিক্যাল শব্দটিই মনে পড়ছে। আর স্ট্রাটেজি বললে যে দূরবর্তী ভবিষ্যৎ ভাবটা মনে আসে ট্যাক্টিকাল শব্দের বাংলা ভাবটা দাঁড়াচ্ছে মনে ‘উঠ ছেরি তোর বিয়া’-‘কি একটা বাসে এনে যে তুললো, এটা তো নড়ছেই না। কতক্ষণে যে হোটেলে পৌঁছুব’। এতক্ষণ কচ্ছপ গতিতে চলা বাসটি এসময় এক্কেবারে নট নড়ন চড়ন হয়ে, স্থিতিজড়তার মধ্যে নিজেকে সপে দিতেই, পেছনের সিট থেকে বিরক্তির এই ঝাপটা এসে আমাকে মনে করিয়ে দিল যে, আদার ব্যাপারী আমি কেন বসে বসে মনে মনে জাহাজের খবর নিচ্ছি? যেখানে আমার নিজেরই ব্লাইন্ড স্পট এতোই বড়, আর দৃষ্টি আমার এতোই ক্ষীণ যে; কয়েক ঘণ্টা আগে এয়ারপোর্টে এসে নেমেও কেন দেখতে পেলাম না, বেইজিং এর রাস্তার জ্যাম ? ফলে আমি কিনা ডানাওলা বোরাক ভাড়া করার বদলে সবাইকে নিয়ে উঠলাম এই বাসে!
বোরাক শব্দটি মনে ঘাই দিয়ে উঠতেই, চোখের সামনে স্পষ্ট দেখতে পেলাম ছোট বেলায় ওয়াজ মাহফিলে বর্ণনা শোনা আর পাড়ার চায়ের দোকান, নাপিতের দোকান এসবের দেয়ালে ঝোলানো কাঁচঢাকা ফ্রেমবন্দি সুসজ্জিত সুন্দরী নারী মুখের চেহারা ডানাওলা ঘোড়ার ছবিটি। একই সাথে বরাবরের মতো জ্যামে পড়লে যে কথা মনে পড়ে, মনে পড়লো তাও। আর তা হলো বছর কয়েক আগে অভ্র যখন আরও ছোট ছিল, তখন একদিন ঢাকাই জ্যামে আটকা পড়ে অতিষ্ঠ হয়ে বলেছিল- “বাবা আমি বড় হয়ে এমন গাড়ি আবিষ্কার করবো, যা নাকি এরকম জ্যামে পড়লে উড়তে শুরু করবে”- শিশুপুত্রের এরকম কল্পনা শক্তিতে বিমুগ্ধ পিতা আমি তাতে বেশ পুলকিত হয়ে ওকে যখন আদর করতে করতে ভাবছিলাম যে, বাহ এ তো দেখছি প্রয়োজন আবিষ্কারের জননী কথাটার এক্কেবারে মোক্ষম উদাহরণ। কারণ যে কোন আবিষ্কারের প্রথম শর্ত তো হলো, আপাত অবাস্তব কিছু কল্পনা করার ক্ষমতা থাকা, আর সেটি তো দেখছি আমার ছোট পুত্রটির বেশ ভালই আছে।
সেদিন ঠিক তখনই যুক্তিবাদী বড়পুত্র বলে উঠেছিল, “এ আবার আবিস্কারের কিছু হলো নাকি ? গাড়ি আর প্লেন, দুটোই তো এখন আছে। এ দুটোকে জোড়া দিয়ে কিছু বানালে তা কিভাবে আবিষ্কার হয়? তাই না বাবা?”
এতে জ্যামাক্রান্ত গাড়ির মধ্যে দুই ভাইয়ের যে দ্বৈরথ শুরু হয়েছিল সেদিন, তাতে পড়েছিলাম আমি শাখের করাতে। কারণ দীপ্রর যুক্তিকে তো অস্বীকার করতে পারছিলাম না। আবার তাকে সমর্থন করলে অভ্রর কল্পনাকে করা হয় নিরুৎসাহিত। অস্বস্তিকর সেই অবস্থায় দুজন কে কিভাবে সামলেছিলাম সেদিন সে মুহূর্তে মনে পড়ছে না। তবে এখন সে ঘটনাটি ফের মনে পড়ায়, পেছনের সিটের আবহাওয়া হালকা করার মানসে, সিটে বসে থেকেই যতটা পারা যায় পেছনে মাথা ঘুরিয়ে, অভ্রকে উদ্দেশ্য করে অনুচ্চকন্ঠে বললাম, মনে আছে বাবা ছোট বেলায় তুমি বলেছিলে যে, বড় হয়ে তুমি উড়তে পারে এমন গাড়ি আবিষ্কার করবে? এখন কিন্তু আমাদের ওরকম একটা বাসের দরকার ছিল।
ছোয়াযন্ত্রে পাওয়ার ব্যাঙ্ক লাগিয়ে খেলায় ব্যস্ত অভ্র চোখ তুলে হাসিমুখে একঝলক তাকিয়ে ফের ফিরে গেল খেলায়। ঐদিকে অন্যসিটে বসা দীপ্রও খেলায় ব্যস্ত থাকলেও, অনুচ্চ এ কথা কটি যে ওর কানেও পৌঁছেছে বুঝলাম তা, যখন ও আবারো পেশ করলো তার সেই পুরানো যুক্তি। মানে এটা কোন আবিষ্কার না। কপাল ভাল যে দুজনেই খেলা নিয়ে ব্যস্ত থাকায় ব্যাপারটি নিয়ে বাসের ভেতরে আর কোন দ্বৈরথের অবতারণা হলো না।
অন্যদিকে এ সময় ক্ষীণদৃষ্টিপ্রসূত বেকুবি থেকে আমাকে উদ্ধার করার লক্ষেই সম্ভবত এসময় বাস সামনের দিকে নড়তে শুরু করলো ফের এবং অচিরেই তা ছুটতে শুরু করলো অনেকটা বোরাক গতিতে, যাতে কিছুটা স্বস্তি নেমে এলো মনে হলো পেছনের সিটে। এভাবে মোটামুটি গতি আর শম্বুক গতির মধ্যে পালা করে গিয়ার বদলে বাস চলতে থাকলেও, বাইরের ধোঁয়াশার ঠাণ্ডাকে ক্রমশ একই নিরবচ্ছিন্ন গতিতে ঝাপটে ধরছে দেখলাম সন্ধ্যা। আর এরই মধ্যে রাস্তার পাশের শীতে কুঁকড়ে থাকা নেড়া গাছপালার সংখ্যা কমে গিয়ে, দালান কোঠার সংখ্যা আর রাস্তার পাশের আলোর উজ্জ্বলতা বাড়তে শুরু করতেই ধারনা করলাম যে ঢুকে পড়েছি আমরা বেইজিং এর শহর এলাকায়।
শহর এলাকায় ঢুকে পড়েছি ভেতরে এই বোধ হওয়ার সাথে সাথেই বেশ সচকিত হয়ে উঠলাম এই ভেবে যে , বাসে উঠে আমার এখনকার সিট থেকে দুই সিট সামনের জানালায় সাঁটানো রুট ম্যাপ দেখে বুঝতে পেরেছিলাম যে আমাদের হোটেলটাই হলো এই বাসের প্রথম স্টপেজ, তার মানে তো অচিরেই নেমে পড়তে পারবো আমরা। কিন্তু পরক্ষনেই মনে হল সেই কথা লিখেছিল যা হোটেলের রিভিওতে একজন। সে মতে হোটেলটি হলো বেইজিং শহরের গ্রাউন্ড জিরো এলাকায়। আবার বেশ কয়েকজনই লিখেছিল যে ওটা ডাউন টাউনে, যার আশেপাশে বেইজিঙয়ের শপিং মক্কা না হলেও আছে অনেক শপিং সেন্টার। তাই যদি হয়, তাহলে তো তা শহরের একদম মুখে হওয়ার কথা না।
আমার এরকম ভাবনার তাল কেটে দিয়ে তখনই হঠাৎ পাইলট বাসটিকে রাস্তার ডান দিকে কাটিয়ে জোর ব্রেক করে থামাতেই তড়িঘড়ি সব ভাবনা ফেলে অনেকটা চাবি দেয়া কলের পুতুলের মতো সিট থেকে উঠে দাঁড়িয়ে , মাথার উপরের বাংক থেকে নিজেদের ব্যাগগুলো নামানোর উদ্যোগ করলাম, এই ভেবে যে পৌঁছে গেছি আমরা মঞ্জিলে মঙুদে । কিন্তু তারপরও ব্যাপারটা নিশ্চিত করার জন্য জানালার বাইরে নজর ফেলে দেখতে চেষ্টা করলাম আমাদের হোটেলের নাম দেখা যায় কিনা কোন রাস্তার পাশের কোন দালানে। নাহ দেখতে পেলাম না তেমন কিছু। আর এলাকাটা দেখেও না মনে হল এটা কোন শপিং এলাকা বা ডাউন টাউন জাতীয় সরগরম এলাকা। তারপরও ব্যাপারটি নিশ্চিত করার জন্য সিট ছেড়ে পায়ে পায়ে এগিয়ে যেতে থাকলাম পাইলটের দিকে। বলা তো যায় না এটাই যদি হয় আমাদের নামার জায়গা, আর আমাদের বসে থাকার কারণে পাইলট সাহেবও যদি ভুলে গিয়ে থাকেন কোথায় আমাদের নামার কথা, তাতে উনি যদি অভ্যাসমাফিক স্টপেজে কিছুক্ষণ থেমে আবার শুরু করে বাস ছেড়ে দেন! ‘কি হল কোথায় যাচ্ছ?’ ‘আমাদের এখানে নামতে হবে নাকি দাদা ?’ লাজুর প্রশ্নটির পিঠে চড়ে হেলেনেরও প্রশ্ন আমার কানে আসার সাথে সাথে, এই সামান্য শোরগোলটি যে পাইলট চাচারও টনক নড়িয়েছে বুঝলাম, যখন দেখলাম উনি চকিতে পেছনে তাকিয়ে, হাত দিয়ে ইশারা করে আমাকে সিটে গিয়ে বসতে বলে বুঝিয়ে দিলেন যে এখনই এতো উতলা হওয়ার কিছু নেই। অতপর ফের বাস চালানোয় মনোযোগ দিলেন পাইলট চাচা। কপাল ভাল এবার চালু হয়ে বেশ বাস ভাল গতিতেই ছুটতে শুরু করায় নিশ্চিন্ত হলাম যে, জ্যাম নাই আপাতত রাস্তার এই অংশে। সিটে বসে পাশের জানালার বাইরের চোখ যেতেই মনে হলো এরই মধ্যে অন্ধকার গাঢ় হয়ে উঠলেও রাস্তার লাইটপোস্ট, আর আশপাশের দালানসমূহ থেকে নানান মাত্রার ঔজ্জ্বল্যের, নানান রঙয়ের আলো চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায়; ধোঁয়াশার মধ্যেও রাস্তাটাকে একটু আগেরকার চেয়ে উজ্জ্বলতো বটেই সাথে বেশ মোহময় মনে হচ্ছে। অতপর চোখ গেল সামনে, মানে ড্রাইভিং সিটের উইন্ডশিল্ড ভেদ করে।
লেখক : প্রাবন্ধিক, সংগঠক