দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে আরও ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে, আর নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ১ হাজার ৪০৭ জন। গতকাল সোমবার বিকালে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির এই সবশেষ তথ্য জানানো হয়। সেখানে বলা হয়, সকাল ৮টা পর্যন্ত শনাক্ত ১ হাজার ৪০৭ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৫৫৫ জন হল।
আর গত এক দিনে মারা যাওয়া ৩২ জনকে নিয়ে দেশে করোনাভাইরাসে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ১৯৩ জনে দাঁড়াল। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে বাসা ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আরও ১ হাজার ৫৮২ জন রোগী সুস্থ হয়ে উঠেছেন গত এক দিনে। তাতে সুস্থ রোগীর মোট সংখ্যা বেড়ে ২ লাখ ৭২ হাজার ৭৩ জন হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ, তা সাড়ে তিন লাখ পেরিয়ে যায় ২১ সেপ্টেম্বর। এর মধ্যে ২ জুলাই ৪ হাজার ১৯ জন কোভিড–১৯ রোগী শনাক্ত হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ শনাক্ত। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২২ সেপ্টেম্বর সেই সংখ্যা পাঁচ হাজার ছাড়িয়ে যায়। এর মধ্যে ৩০ জুন এক দিনেই ৬৪ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়, যা এক দিনের সর্বোচ্চ মৃত্যু। খবর বিডিনিউজের।
জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় বিশ্বে শনাক্তের দিক থেকে পঞ্চদশ স্থানে আছে বাংলাদেশ, আর মৃতের সংখ্যায় রয়েছে ২৯তম অবস্থানে। বিশ্বে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা ইতোমধ্যে ৩ কোটি ৩১ লাখ পেরিয়েছে; মৃতের সংখ্যা ১০ লাখ ছুঁইছুঁই করছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ১০৬টি ল্যাবে ১১ হাজার ৯২২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ১৯ লাখ ২১ হাজার ৩৮২টি নমুনা।
২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার বিবেচনায় শনাক্তের হার ১১ দশমিক ৮০ শতাংশ, এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৭৭ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৭৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৪ শতাংশ।
গত এক দিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ২২ জন, নারী ১০ জন। তাদের মধ্যে ৩০ জন হাসপাতালে ও ২ জন বাড়িতে মারা গেছেন। মৃতদের মধ্যে ১৯ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি, ৯ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে এবং ৪ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ছিল। ২৫ জন ঢাকা বিভাগের, ৩ জন করে মোট ৬ জন চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের এবং ১ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। দেশে এ পর্যন্ত মারা যাওয়া ৫ হাজার ১৯৩ জনের মধ্যে ৪ হাজার ১৮ জনই পুরুষ এবং ১ হাজার ১৭৫ জন নারী।
তাদের মধ্যে ২ হাজার ৬৩৬ জনের বয়স ছিল ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ হাজার ৪০৪ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৬৭৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ২৯৬ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১১৮ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে, ৪২ জনের বয়স ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে এবং ২৪ জনের বয়স ছিল ১০ বছরের কম। এর মধ্যে ২ হাজার ৫৯১ জন ঢাকা বিভাগের, ১ হাজার ৬৮ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩৪০ জন রাজশাহী বিভাগের, ৪৩৩ জন খুলনা বিভাগের, ১৮৭ জন বরিশাল বিভাগের, ২২৮ জন সিলেট বিভাগের, ২৩৭ জন রংপুর বিভাগের এবং ১০৯ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন।