অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে দল বদল করা মোহামেডান ব্লুজ প্রথম ম্যাচেই হারতে বসেছিল। যদিও শেষ পর্যন্ত তিন মিনিটের ঝড়ে হার এড়াতে সক্ষম হয়েছে। তবে কোয়ালিটি স্পোর্টস ক্লাবও কম যায়নি। দুই গোলে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত জয়টা নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারেনি দলটি। ম্যাচটি ২–২ গোলে ড্র হয়েছে। আর তাতেই যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলো মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ব্লুজ। এবারের প্রিমিয়ার ফুটবল লিগের শুরুটাই যেন একেবারে বারুদের মত হয়েছে। কেউ কারে নাহি ছাড়ে সমানে সমান। অন্তত প্রথম ম্যাচটি বাদ দিলে বাকি তিন ম্যাচেই লড়াই হয়েছে সমানতালে। গতকালও মোহামেডান ব্লুজের সাথে সমান তালে লড়াই করেছে কোয়ালিটি এস সি। বলা যায় জয়টা যেন হাতছাড়া করেছে তারা। প্রথমার্ধেই দুই গোল আদায় করে নেওয়া কোয়ালিটি সে গোল ধরে রেখেছিল ৭৯ নিটি পর্যন্ত। কিন্তু তিন মিনিটের ঝড়ে সব লন্ডভন্ড করে দিল মোহামেডান ব্লুজ। আর তাতেই প্রথম ম্যাচে হারের লজ্জা থেকে রক্ষা পেল সাদা–কালো শিবির।
এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচের শুরু থেকেই অবশ্য আক্রমণ করে খেলছিল মোহামেডান ব্লুজ। কিন্তু খেলার ১০ মিনিটে একেবারে অপ্রত্যাশিত এক গোল হজম করে বসে মোহামেডান ব্লুজ। ডানপ্রান্ত দিয়ে আক্রমণে উঠে ডিবক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক ক্রস করেছিলেন রিয়াদ। বলটি গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে গোলেই ঢুকছিল। ঠিক তখনই টোকা দিয়ে আরিফ বল পাঠিয়ে দেন জালে। ১–০ গোলে এগিয়ে যায় কোয়ালিটি। সে গোলের রেশ কাটতে না কাটতে। খেলার ২৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে কোয়ালিটি। এবার নিজেদের অর্ধ থেকে বল পেয়ে লম্বা ক্রস ধরে এগিয়ে গিয়ে দারুণ এক কোনাকোনি শট নেন শাকিল। আর সে বল জড়ায় জালে। ২–০ গোলে এগিয়ে যায় কোয়ালিটি। স্তব্ধ হয়ে পড়ে সাদা–কালো শিবির। ৩৩ মিনিটে ব্যবধান কমানোর একটি সুযোগ পেয়েছিল মোহামেডান ব্লুজ। রাব্বির বাড়ানো বল ধরে ডি বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শট নিয়েছিলেন সায়মন। কিন্তু সে শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন কোয়ালিটি গোলরক্ষক।
দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবধান আরো বাড়ানোর সুযোগ এসেছিল কোয়ালিটির সামনে। মোহামেডান ব্লুজের ডি বক্সের সামনে থেকে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন জীবন মিয়া। কিন্তু সে শট চলে যায় ক্রসবার উচিয়ে। ৭৯ মিনিটে শেষ পর্যন্ত গোলের দেখা পায় মোহামেডান ব্লুজ। মাঝমাঠ থেকে ইরফানের বাড়ানো বল ধরে ডি বক্সের সামনে সৃষ্ট জটলা থেকে জোরালো শটে গোল করেন বদলী হেলাল। ব্যবধান কমে দাড়ায় ২–১। তার দুই মিনিট পরই আবার আক্রমণ। এবার ডি বক্সে বল নিয়ে ঢুকে পড়েন মোহামেডান ব্লুজের নাসির। তাকে ফাউল করেন কোয়ালিটি গোল রক্ষক। পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারী। আর সে পেনাল্টি থেকে গোল করে খেলায় সমতা ফেরান নাসির উদ্দিন। এরপর বাকি সময়ে আর কোন দলই গোল করতে পারেনি। অবশ্য ইনজুরি সময়ে রাব্বি বেশ ভাল একটি শট নিয়েছিলেন। কিন্তু সে শট থেকে গোল পায়নি মোহামেডান ব্লুজ। ফলে স্বস্তির ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়ে সাদা–কালো শিবির। অপরদিকে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও জয় না পাওয়ার হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে কোয়ালিটি এস সি। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন কোয়ালিটি এসসির শাকিল আলি। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত চৌধুরী পাবলু।
আজকের খেলা : চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ক্রীড়া সমিতি একাদশ বনাম সিটি কর্পোরেশন একাদশ। (বিকেল সাড়ে তিন টা)।