অভিনব পন্থায় ঘুরে ঘুরে ক্রেতার হাতে ইয়াবা তুলে দেয় রাসেল (২৪)। মূলত সে ১১ নম্বর বাসের হেল্পার। গত ৩ মার্চ বুধবার নগরীর চৌমুহনী ফায়ার স্টেশনের সামনে নিউ সুপার স্টার হোটেল থেকে ইয়াবা কেনার ফাঁদ পেতে তাকে গ্রেপ্তার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। ডবলমুরিং থানার এসআই শরীফের নেতৃত্বে অভিযানে তার সহযোগী আল আমিন বাবু (২৪) নামে আরও একজনকে আটক করে। তাদের থেকে উদ্ধার করা হয় চার হাজার ৩০০ পিস ইয়াবা। উভয়ের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলায়।
ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন আজাদীকে বলেন, রাসেল একজন পরিবহন শ্রমিক। সে দিনের বেলায় ১১ নম্বর বাসে হেল্পার হিসেবে কাজ করে। আর রাতে করে ইয়াবা ব্যবসা। মাঝে মাঝে তার ক্রেতারা যাত্রীবেশে বাসে উঠে, সেখানেই সে ঝোঁক বুঝে লেনদেন সারে। শুধু সে নয়, তার পুরো পরিবারই মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
ওসি মহসীন বলেন, রাসেলের সঙ্গে ইয়াবাসেবীরা যোগাযোগ করলে তাদের বাসের অবস্থান বলে দেয় সে। নির্দিষ্ট স্থানে গেলে ক্রেতাকে যাত্রী হিসেবে বাসে তুলে নেয়। নামার সময় যাত্রীবেশী থাকা ওই ইয়াবাসেবীর হাতে ইয়াবা দিয়ে দেয়। তিনি বলেন, বুধবার ইয়াবা কেনার কথা বলে রাসেলকে ফাঁদে ফেলে এসআই শরীফ। চৌমুহনী এলাকায় একটি হোটেলে গিয়ে ইয়াবা নিতে আসার কথা বললে আল আমীন সেখানে গিয়ে কথা বলে এবং টাকা থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে রাসেলকে ফোন করে যেতে বলে। রাসেল হোটেলে যাওয়ার পর দুজনকে আটক করে তল্লাশি করে পুলিশ। এসময় রাসেলের পকেটে ২ হাজার ৫০০ এবং আল আমীনের পকেটে ১ হাজার ৮০০টিসহ মোট ৪ হাজার ৩০০টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তার দুজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে ডবলমুরিং থানায় মামলা করেছে পুলিশ। ওসি জানান, রাসেলের বাবা-মা দুজনই মাদক কারবারি। রাসেলের বাবা শাহজাহানের বিরুদ্ধে ছয়টি এবং মা শাহেদার বিরুদ্ধে তিনটি করে মাদক মামলা আছে বলে জানান তিনি। এদিকে পৃথক অভিযানে মোক্তার হোসেন অভি (২৬) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। সে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে ৪ টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।