কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন বলেছেন, পরিবেশ ও প্রতিবেশকে সুরক্ষা দিতে হলে প্রথম কাজ হবে কর্ণফুলী নদী রক্ষা করা। যারা নদী দখল করে আছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন গতকাল সোমবার উপজেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় কর্ণফুলী নদী দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার কথা জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) স্বরূপ মুহরী, থানার ওসি মো. মাসুদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. দিলদার হোসেন, উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক মো. ইয়াছিন, উপজেলা জামায়াতের আমীর মো. হারুনুর রশীদ, চন্দ্রঘোনা ইউপি চেয়ারম্যান আকতার হোসন মিলন, রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান মংক্য মারমা, চিৎমরম ইউপি চেয়ারম্যান ওয়েশ্লিমং চৌধুরী এবং ওয়াগ্গা ইউপি চেয়ারম্যান চিরনজিত তনচংগ্যাসহ আইন শৃঙ্খলা কমিটির সদস্য বৃন্দ।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রুহুল আমিন বলেন, প্রথমে অভিযান পরিচালনা করা হবে যারা একেবারে নদী দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে যারা নদীর তীর দখল করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসতি গড়ে তুলেছেন তাদের বিরুদ্ধে অভিযান হবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে সকল দখলদারদের বিরুদ্ধে অভিযান হবে। এই অভিযানকালীন
তিনি এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করে বলেন, যারা দীর্ঘ দিন থেকে নদীর তীরে বসবাস করে আসছেন তাদের কিভাবে পুনর্বাসন করা যায় সে ব্যাপারেও অফিশিয়াল চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা জামায়াতের আমীর হারুনুর রশীদ বলেন, অনেক পরিবার আছে যারা ২৫ থেকে ৩০ বছর ধরে নদীর তীরে বসবাস করে আসছেন। তাদের বিরুদ্ধে কোন অভিযান পরিচালনা করার আগে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা অবশ্যই জরুরী। হুটকরে অভিযান চালালে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হতে পারে।