সারা পৃথিবী জুড়ে ঘনিয়ে আসছে পরিবেশ সংকট। মানুষের সৃষ্ট যন্ত্র সভ্যতার গোড়াপত্তন থেকেই চলেছে প্রাকৃতিক পরিবেশের ওপর মানুষের নির্মম কুঠারাঘাত। ফলে প্রকৃতির ভারমাস্য মারাত্মক পানি দূষণ, পরিবেশ–বিজ্ঞানীরা আজ উদ্বিগ্ন। এ থেকে মুক্তির উপায় হচ্ছে পুকুর ভরাট বন্ধ করতে হবে। দক্ষিণ কাট্টলীতে রাতের অন্ধকারে পুকুর ভরাট চলছে। শত শত গাছ কাটা হচ্ছে। পশু–পাখি হারিয়ে যাচ্ছে। এই ছোট্ট একটি গ্রামে দক্ষিণ কাট্টলী আজ ওয়াশার পানির জন্য হাহাকার করতে হচ্ছে। দিন নেই, রাত নেই কখন ওয়াসার পানি আসবে, তা আমাদের অজানা। একদিকে যেমন পুকুর ভরাট হয়ে যাচ্ছে এবং অন্যদিকে ডিপ টিউব ওয়েল স্থাপন ও ব্যবহারের ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর আরও নিচে চলে যাচ্ছে। এর ফলে শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকট বাড়াছে। প্রকট হচ্ছে পানিতে আর্সেনিক দূষণের সমস্যা। বর্তমান দক্ষিণ কাট্টলী গ্রামে ভূমি দস্যিূর উৎপাতে বড় বা ছোট পুকুর বিভিন্ন জলাশয় ভরাট হয়ে গেছে। গড়ে উঠেছে বড় বড় দালান কোঠা। তাদের টাকার জোরে দিন কে রাত করে ফেলছে এবং অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে। উদ্ভিদ ও প্রাণিজগৎ এর উপর বিষক্রিয়ার প্রভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ হয়ে উঠছে ভারসাম্যহীন, দূষিত ও বসবাস অযোগ্য। আসুন এক সুরে বলি, পুকুর ভরাট বন্ধ হোক, মরুভূমি থেকে দেশকে বাঁচায়।
রাজীব হোড় (রাজু)
যুধিষ্ঠির মহাজন বাড়ি, দক্ষিণ কাট্টলী, চট্টগ্রাম–৪২১৯।