উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত মানুষদের সীমাহীন দুঃখ কষ্টে দিনাতিপাত করতে হয়। প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোন এর প্রভাবে সাময়িক বেড়ি বাঁধ ভেঙে ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকূলীয় অঞ্চলের লাখ লাখ বাসিন্দা। ফলে, উপকূলীয় অঞ্চলের বসবাসরত মানুষদের ঘরবাড়ি, ফসলাদি, গবাদিপশুসহ শেষ সম্বলটুকুও দুর্যোগে হারিয়ে নিঃস্ব হতে হয়। আহাজারি করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না তাদের। মে মাসে প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপকূলবর্তী এলাকাগুলো বাঁচাতে এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দুঃখ কষ্ট লাঘবে টেকসই বেড়ি বাঁধের বিকল্প নেই। ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, সাইক্লোনের প্রভাব যখন পড়ে তখন উপকূলীয় এলাকায় আগমণ ঘটে স্থানীয় নেতা কর্মী থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় পর্যায়ের মন্ত্রীদের। আশার বাণী শুনিয়ে চলে যাওয়া বৈ অন্য কিছু তাদের নিকট শোনা যায়না। টেকসই বেড়ি বাঁধের আশ্বাসসহ ত্রাণ সামগ্রি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও পরিশেষে, ত্রাণ সামগ্রী কিছু মিলে, কিন্তু মিলে না টেকসই বেড়ি বাঁধ। এতে উপকূলীয় এলাকার মানুষের ভাগ্যের কোন পরিবর্তন হয় না। টেকসই বেড়ি বাঁধ না থাকায় প্রতিবছরই উপকূলীয় অঞ্চলের বসবাসরত বাসিন্দাদের পানিতে বিলীন হয়ে যায় সবকিছু। এ যেন, উপকূলবর্তী এলাকার জনগণের প্রাণের কথা “ত্রাণ নয় টেকসই বেড়ি বাঁধ চাই।”
আজিজুল হক, শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।