দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা তিস্তা নদীর পানি বণ্টনের বিষয়টির সমাধান করতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ সরকার। মঙ্গলবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ পরামর্শক কমিশনের (জেসিসি) বৈঠক শেষে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, তিস্তা ইস্যুতে দুপক্ষের মন্ত্রী পর্যায়ে ঐকমত্য হয়েছে। ইনিশিয়ালও হয়েছে। কিন্তু বাস্তবায়ন হচ্ছে না। আমরা বাস্তবায়নের ওপর জোর দিয়েছি। বিকালে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এক ঘণ্টাব্যাপী জেসিসির ষষ্ঠ ওই বৈঠকে ভারতের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। বৈঠকে তিস্তার পাশাপাশি বাকি ছয়টি যৌথ নদীর পানির হিস্যার বিষয় মীমাংসার ক্ষেত্রে ভারত ‘যথেষ্ট আগ্রহ’ দেখিয়েছে বলে জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। খবর বিডিনিউজের।
তিস্তা চুক্তি না হওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, বাস্তবায়নটা শুরু হয় নাই। আপনারা জানেন কী কারণে, আমরা আশা করি তারা (ভারত) বুঝবে, এটা বাস্তবায়ন করবে। এর মধ্যে দুই দেশের যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) বৈঠকও আটকে আছে প্রায় ১০ বছর ধরে; জেসিসির মিটিংয়ে সেই বৈঠক ‘শিগগির’ করার বিষয়ে আলোচনা হলেও দিনক্ষণ ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে এক প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, জেআরসি মিটিং একটা হবে। ২০১০ সালে সর্বশেষ জেআরসি মিটিং হয়েছিল। এখন আমরা আশা করছি আরেকটি হবে। সেটা শিগগির হবে। জেসিসি বৈঠকের যৌথ বিবৃতিতেও তিস্তার পাশাপাশি অন্য ছয় নদীর পানি বণ্টনের বিষয়ে জোর দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। সেখানে বলা হয়, তিস্তার পানি বণ্টনের বিষয়ে অন্তর্বতী চুক্তি চূড়ান্ত করার বিষয়ে দুই মন্ত্রী তাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। একইসঙ্গে অন্য ছয়টি যৌথ নদী– মানু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমারের পানি বণ্টনের বিষয়ে অন্তর্বর্তী চুক্তির ফ্রেমওয়ার্ক তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন তারা। আলোচনায় তিস্তা ইস্যু ও সীমান্ত হত্যার পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য, ভারতের লাইন অব ক্রেডিটের ধীরগতি প্রভৃতি বিষয়ে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন।